বর্তমানে ভারতীয় জনসাধারণ সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির তুলনায় নিজস্ব ব্যবসা তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি করে উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন। তবে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে ভারতীয় যুবক-যুবতীদের যে মূল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হল বিনিয়োগের অভাব। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকর বিভিন্ন প্রকার প্রকল্পের মাধ্যমে যুবক-যুবতীরা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঋণ পেয়ে থাকেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও যুবক-যুবতীদের বিশেষ কতগুলো যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। যার জেরে কম বিনিয়োগের মাধ্যমে কোন কোন ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে তা জানার জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নানাবিধ চর্চার সূত্রপাত ঘটেছে। আর তাতে আজকের এই পোস্টটি কম বিনিয়োগের মাধ্যমে কোন কোন ব্যবসা শুরু করা সম্ভব তা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি।
কোন বিনিয়োগের মাধ্যমে কোন কোন ব্যবসা শুরু করা সম্ভব?
১. বেবি প্রোডাক্টের ব্যবসা:-
বর্তমানে সমগ্র ভারতজুড়ে বিভিন্ন প্রকার অর্গানিক প্রোডাক্টের চাহিদা ক্রমাগত হারে বাড়ছে। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, সময় যত এগিয়েছে পিতা-মাতারা সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল প্রোডাক্টের বদলে অর্গানিক প্রোডাক্ট বেছে নিয়েছেন। যার জেরে সমগ্র ভারত জুড়ে নানাবিধ অর্গানিক বেবি প্রোডাক্টের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আর এই চাহিদাকেই কাজে লাগিয়ে আপনি নিজস্ব অর্গানিক বেবি প্রোডাক্ট -এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি আপনার জেলার যেকোনো নামিদামি হোলসেল মার্কেট থেকে শিশুদের নানাবিধ অর্গানিক প্রোডাক্ট কিনে নিজস্ব এলাকার দোকানগুলিতে তা বিক্রি করার মাধ্যমে উপার্জন করে নিতে পারবেন। এছাড়াও ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন সহ হোয়াটসঅ্যাপ, ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম -এর মারফত এই সমস্ত প্রোডাক্টগুলি বিক্রি করার মাধ্যমেও যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবে। অন্যদিকে শিশুদের বিভিন্ন প্রকার অর্গানিক প্রোডাক্ট -এর পাশাপাশি নানা ধরনের নন-টক্সিক খেলনা, উন্নত মানের কাপড় সহ শিশুদের বিভিন্ন প্রকার প্রোডাক্ট বিক্রির মাধ্যমেও আপনি যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:- স্টার চিহ্নযুক্ত ৫০০ টাকার নোট আসল নাকি নকল, কি বলছে RBI?
২. অনলাইন নার্সারি প্লান্টের ব্যবসা:-
বর্তমানে সমগ্র বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে প্রাণীকূল বিপদাপন্ন। আর বৈজ্ঞানিকদের মতানুসারে, একমাত্র উদ্ভিদই মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীকে আসন্ন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে, আর তাতেই বর্তমানে সমগ্র ভারত তথা বিশ্বব্যাপী গাছের চাহিদা ক্রমাগত হারে বাড়ছে। নিজস্ব বাড়িতে বাগান করা থেকে শুরু করে খালি জমিতে নানাবিধ গাছ লাগানো এমনকি সাজানোর ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রকার গাছের ব্যবহার হচ্ছে। আর গাছের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নার্সারি চাহিদাও, ফলত আপনি চাইলেই যথেষ্ট কম বিনিয়োগে নিজস্ব নার্সারি তৈরি করে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন প্রকার ফল, ফুলের গাছ থেকে শুরু করে বিরল উদ্ভিদ সহ তুলসী, নিম, বাসক, সর্পগন্ধা, সিঙ্কোনার মত বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নিজের নার্সারিতে এই সমস্ত কাজগুলি চাষ করার মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে তা বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি প্রত্যেক মাসে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু তাই নয় আপনার নার্সারিতে অর্গানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি, ফলমূল, চা, ভেষজ উদ্ভিদ চাষ করে সেগুলিকে বিক্রি করার মাধ্যমেও আপনি যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার নার্সারিতে উৎপন্ন হওয়া অর্গানিক প্রোডাক্টগুলিকে আপনি নিজের নিকটবর্তী এলাকার মার্কেটে কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারবে, এতে আপনার আয় বাড়বে বই কমবে না।