শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেই এলো এক বড় আপডেট। দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকা আবেদনপত্র ও পরীক্ষার তারিখ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল কমিশন। আদালতের হস্তক্ষেপের পরই এই পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে। যদিও পরীক্ষার দিন নিয়ে এখনও স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি, তবে ইঙ্গিত মিলছে বড় সমন্বয়ের। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক নতুন কি সিদ্ধান্ত নিল আদালত
সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপেই মূলত এই পালাবদল। প্রথমে কমিশন জানিয়েছিল, আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ২৭ জুলাই, আর ভুল সংশোধনের শেষ তারিখ ১২ আগস্ট। সেগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই সেপ্টেম্বরের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, চাকরিরত প্রার্থীরা আবেদনের জন্য আরও কিছুটা সময় পাবেন। তাই আগের সময়সূচি কার্যত আর মানা সম্ভব নয়।
উৎসবের মরশুমে স্থগিত হতে পারে পরীক্ষা
আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে একের পর এক উৎসব থাকায় পরীক্ষার আয়োজন কঠিন হবে বলেই মনে করছে কমিশন। দুর্গাপুজো শেষে করতে না করতেই কালীপুজো ও ছট উৎসব মিলিয়ে একটানা ছুটির পরিবেশ চলবে প্রায় সারা অক্টোবর। ফলে পরীক্ষার দিন মূলত পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সব দিক বিচার করে নভেম্বর মাসেই পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে প্রবল।
যোগ্যতার শর্তেও বদল
যোগ্যতার ক্ষেত্রেও এসেছে বড় পরিবর্তন। এসএসসির নিয়ম ছিল স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের পরীক্ষায় অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতেই হবে। এই নিয়মের প্রতিবাদেই মামলা হয়। তাই নতুন নির্দেশ অনুযায়ী ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই পরীক্ষায় বসা যাবে। আদালত মনে করেছে, এই নিয়ম অনেককেই পরীক্ষার জন্য অযোগ্য করে তুলেছে। তাই এই নিয়ম বদলের ফলে আগের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষার্থী এবার আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
সবমিলিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পথ আবারও মসৃণ হতে চলেছে। আদালতের নির্দেশে যেমন চাকরিপ্রার্থীরা আশ্বাস পাচ্ছেন, তেমনই কমিশনের পক্ষেও কাজও বেড়ে যাচ্ছে বেশ খানিকটা। তবে এখন অপেক্ষা কেবল নতুন তারিখ ঘোষণার, কবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হবে নতুন পরীক্ষার তারিখ।