জীবন প্রমাণপত্র (Life Certificate) এর জন্যে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের আর দৌড়-দৌড়ি করার প্রয়োজন নেই! এবারে এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার অনেকগুলি বিকল্প সেট করেছে সরকার (Government)।
এই বছর থেকে আমাদের জন্মের প্রমাণপত্র একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য হয়েছে। সরকারি থেকে বেসরকারি সবধরণের কাজে লাগছে এই শংসাপত্র। তবে পেনশনভোগীদের আর লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দিতে ব্যাঙ্ক এ যেতে হবে না। বাড়িতে বসে ফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন।
পূর্বে অবসরপ্রাপ্ত বা চলাফেরায় অক্ষম মানুষদের কথা ভেবে আধার নির্ভর বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবন শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু তাতেও নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বার এই নতুন পদ্ধতিতে আর কাউকে লাগবে না জীবন শংসাপত্র তৈরি করানোর কাজে— কোনও খরচ ছাড়াই। আপনার শুধু লাগবে একটা স্মার্ট ফোন।
আরও পড়ুনঃ গরিবের মুখে হাসি, SBI এর সাথে হাত মিলিয়ে জনসাধারণকে ক্রেডিট কার্ড দিতে চলেছে Reliance
ঠিক কী লাগবে?
১. অ্যানড্রয়েড সিস্টেম ৮ বা তার উপরের ফোন। (২০১৭ সালের পরে কেনা সব অ্যান্ড্রয়েডই এই সিস্টেমে চলে)
২. অন্তত র্যাম ৪ জিবি
৩. ৫০০ এমবি ফাঁকা মেমরি
৪. অন্তত ৫ এমপি-র ক্যামেরা
গুগল প্লে স্টোরে যান সেখান থেকে আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে —
ক) আধার ফেসআরডি সার্ভিস (এটা ডাউনলোড করার পরই কিন্তু আপনি স্ক্রিনে আর দেখতে পাবেন না। এটি পিছন থেকে কাজ করে)
খ) জীবন প্রমাণ ফেস অ্যাপ (অন্যান্য অ্যাপ যে ভাবে কাজ করে, এটিও সে ভাবেই কাজ করে।
অ্যাপটি এবার আপনার কাছ থেকে যে তথ্য চাইবে সেগুলি হল
- আধার নম্বর
- পিপিও নম্বর
- এজেন্সির নামে ক্লিক করে আপনার পেনশন যে ব্যাঙ্ক থেকে নিয়ে থাকেন তার নাম
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
- নথিভুক্ত ফোন নম্বর
- একটি ইমেল
ফোন নম্বর দেওয়ার পরে একটা ভেরিফিকেশন ওটিপি আসবে। তার পরেই অ্যাপটি মুখ স্ক্যান করতে চাইবে। পেনশনভোগীর মুখ স্ক্যান করুন। তার পরই দেখবেন জীবন শংসাপত্র হয়ে গিয়েছে। তার আগে অবশ্য স্ক্রিনে প্রথাগত বাকি তথ্যও ফুটে উঠবে যা আপনাকে টিক দিতে হবে। যেমন আপনি আবার চাকরি নিয়েছেন কি না, আবার বিয়ে করেছেন কি না ইত্যাদি।ফোনে আর ইমেলে আপনার কাছে একটা নম্বর আসবে। জীবন প্রমাণ সাইটে গিয়ে ওই নম্বর দিয়ে জীবন শংসাপত্র ডাউনলোড করে নিন।