কলকাতা কি এবার জনবিস্ফোরণের (Population Explosion) কিনারে দাঁড়িয়ে? বর্তমান পরিসংখ্যান সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের ১৭ তম স্থানে রয়েছে কলকাতা (Kolkata)। তবে এই পরিসংখ্যান এখানেই থামার নয়। হিসেব বলছে, আগামী কয়েক বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে তিলোত্তমার জন ঘনত্ব। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে জনঘনত্বের নিরিখে কলকাতার নাম বিশ্বের ৫ নম্বরে (Fifth Populous City) এসে যাবে যে কোনও দিন।
কী বলছে সমীক্ষা? সম্প্রতি ‘দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস’ একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষা বলছে, জনবিস্ফোরণের হার এরকমই থেকে গেলে আগামি কয়েক দশকের মধ্যে মহানগরীর বুকে পা ফেলারও জায়গা থাকবেনা। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে কলকাতার সম্ভাব্য জনসংখ্যা কত হতে পারে তার একটি পরিসংখ্যানও দিয়েছে এই সংস্থা।
২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বঙ্গে মোট ৫৩৪টি নতুন শহরের উৎপত্তি হয়েছে। আর এই নতুন শহর জন্মের নিরিখে গত এক দশকে গোটা দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। যদিও এই এক দশকে গোটা ভারতেই একাধিক নতুন শহরের জন্ম হয়েছে। ২০১১ এর নথি বলছে, এই সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি।
তবে জনসংখ্যার কথা বললে, এই সমস্ত শহরকে পেছনে ফেলে দিয়েছে কলকাতা। এখনই কলকাতার জনসংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লক্ষের বেশি। যা গোটা পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত শহরের থেকে বেশি। উদ্বেগের বিষয় হল, এই পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েই চলেছে। যেখানে ১৭৫২ সালে মাত্র ১৫ পরিবারের বাস ছিল এই শহরে, সেখানে বর্তমান হিসেব বলছে এখন ১০ লক্ষেরও বেশি পরিবারের আস্তানা হল কলকাতা।
এবং জনসংখ্যা যদি এই হারে বাড়তে থাকে তাহলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে কলকাতার জনসংখ্যার কথা ভেবে শিউরে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিশাল জন সমুদ্রে দেখা দেবে নানা ধরনের সমস্যা। আর্থিক সংকটের পাশাপাশি খাদ্য সংকট হয়ে উঠবে সবচেয়ে বড় সমস্যা। বাড়বে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং দূষণের পরিমাণ।