ছাত্রজীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক (Madhyamik), এরপরেই আসে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। তবে এবার শিক্ষা নীতিতে বড়সড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য। জাতীয় শিক্ষানীতির মত নতুন শিক্ষা নীতি চালু হতে চলেছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে। যাঁর প্রভাব পর্বে জীবনের প্রথম দুই বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এর ওপর। কি বদল হচ্ছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতিই মেনে চলতে হবে এরম কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে এবার যে বদল আনা হচ্ছে তাতে ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই শিক্ষকদের ওপরেও প্রভাব পড়বে। নতুন শিক্ষানীতি দেখার পর রীতিমত চমকে গিয়েছেন বিশিষ্ঠজনেরা।
৯ই সেপ্টেম্বর শনিবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি ১৬৩ পাতার গেটডেড নোটিফিকেশন প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে শুরুতেই লক্ষ্যনীয় অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষার ওপর অনেকটাই জোর দেওয়াহচ্ছে। এছাড়াও প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার মধ্যেই রাখা হচ্ছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতি বজায় থাকবে। এক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ছাড়াও আরও একটি ভাষা পড়তে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অর্থাৎ ক্লাস এইট পর্যন্ত মোট ৩টি ভাষা পড়তে হবে।
আরও পড়ুনঃ LPG গ্যাসের পর এবার সস্তা হচ্ছে পেট্রল? বড় ঘোষণা করলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী
তবে নবম-দশম শ্রেণী থেকেই এসেছে নতুন চমক। আগেকার দিনের মত ক্লাস নাইন ও টেন একসাথে মিলিয়ে হবে মাধ্যমিক। কিন্তু সেটা হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতেই। একইরকমভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে কিন্তু সেমিস্টার পদ্ধতিতে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে দশমশ্রেণীর পরীক্ষা অর্থাৎ মাধ্যমিক তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে রাজ্য সেই নীতি মেনে নেয়নি, পরীক্ষা যেমন হচ্ছিল হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় MCQ প্রশ্ন থাকবে। এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিকের পর স্নাতকের পড়াশোনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনার্স কোর্সের ক্ষেত্রে ৪ বছরের কোর্স করার সিধান নিয়েছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, নতুন শিক্ষা নীতির পাশাপাশি রাজ্যের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘাটতি নিয়েও বড় ঘোষণা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, নতুন নীতি অনুযায়ী চাকরির প্রথম ৫ বছর গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে শহরের স্কুলের শিক্ষকদের গ্রামে বদলি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।