বর্তমানে পড়াশোনায় ভালো হলেই সে নিজের পছন্দ মতো উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেনা টাকার অভাবে। আজকের এই প্রতিবেদনে রইলো এমন কিছু সরকারি বা বেসরকারি স্কলারশিপের (Scholarship) কথা যা, ভালো নম্বর হোক বা খারাপ নম্বর যেমনি স্টুডেন্ট হোক না কেন সবাই লেখাপড়া করে তাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত ভাবে গড়তে পারবে।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কোর্সে পাঠরত স্টুডেন্ট দের যোগ্যতার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের দেওয়া বৃত্তি গুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই ভারত সরকার পরিচালিত ‘আবাসিক শিক্ষা প্রকল্প’ “Shreshta Scheme” লঞ্চ করেছে। এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থী রা একটিমাত্র পরীক্ষা দিয়ে টানা চার বছর স্কলারশিপ উপভোগ করতে পারবেন।
কেন্দ্র সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরের মোট 3000 শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের টাকা পাবেন। কিন্তু এই “Shreshta Scholarship” কি? কারা পাবে এই স্কলারশিপ জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুনঃ লক্ষী পুজোর আগেই জরুরি ঘোষণা! নিয়ম না মানলে পাবেন না নভেম্বর মাসের রেশন
8 শ্রেণী থেকে 12 শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা মূলত তপশিলি জাতি গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। SHRESHTA স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চার বছরের জন্য মোট 4 লক্ষ 70 হাজার টাকা অনুদান পেতে পারেন। নবম শ্রেণীতে পড়া ছাত্রছাত্রীরা বছরে প্রায় 1 লক্ষ টাকা, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা 1 লক্ষ 10 হাজার টাকা পাবেন। অপরদিকে একাদশ শ্রেণির জন্য 1 লক্ষ 25 হাজার টাকা এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়া ছাত্র ছাত্রীরা বছরে 1 লক্ষ 35 হাজার টাকা স্কলারশিপ হিসেবে পাবেন।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের তপশিলি জাতিভুক্ত হতে হবে। সরকারি বা বেসরকারি স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের পূর্ববর্তী পরীক্ষায় পাশ করতে হবে, তাদের পারিবারিক ইনকাম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বা তার মধ্যে হতে হবে। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ST সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
আবেদনের পদ্ধতি:
“Shreshta Scheme” এর জন্য আবেদন করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির(NTA) জাতীয় স্তরের পরীক্ষা দিতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথমে https://shreshta.nta.nic.in/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করুন। এপ্লাই করার জন্য সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন। সবশেষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
1) বিগত পরীক্ষার রেজাল্টের কপি।
2) আধার কার্ডের সামনের দিক এবং পিছনের দিক স্ক্যান করে আপলোড করবেন।
3) এস সি এর সার্টিফিকেটের কপি স্ক্যান করে আপলোড করবেন।
4) বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের এডমিট কার্ডের কপি বা বার্থ সার্টিফিকেটের কপি আপলোড করতে হবে।