কলকাতায় (Kolkata) ৩১ শে অগস্ট ২০২৫ তারিখের সোনার দাম অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওঠানামা করছে। হলমার্ক ২২ ক্যারেট সোনার গহনার দাম প্রতি গ্রামের জন্য ৯৯২০ টাকা হয়েছে, যা গতদিনের তুলনায় ১.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ গ্রামের জন্য দাম দাঁড়িয়েছে ৯৯২০০ টাকা, অর্থাৎ আগের থেকে ১২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে খুচরো পাকা সোনার দামও বেড়েছে, ২৪ ক্যারেটে ১০ গ্রামের দাম দাঁড়িয়েছে এখন ১০৪৩৫০ টাকা, যা আগের থেকে ১২৫০ টাকা বেশি। এই মূল্যবৃদ্ধি মূলত দেশীয় বাজারে স্বর্ণের চাহিদা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত।
রুপোর দামেও তীব্র ওঠানামা
সোনার পাশাপাশি রুপোর দামও কলকাতার বাজারে গুরুত্বপূর্ণ। ৩১ অগস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রতি কেজি রুপোর বাটের দাম দাঁড়িয়েছে ১২১২০০ টাকা, যা গতকের তুলনায় ২.৪১ শতাংশ বৃদ্ধি। একই সঙ্গে খুচরো রুপোর প্রতি কেজি দাম ১২১৩০০ টাকা, যা আগের দিনের থেকে ২৮৫০ টাকা বেশি। এই বৈপরীত্য বাজারে রুপোর চাহিদা এবং সরবরাহে ওঠা-পড়ার কারণ হিসেবে দেখা যায়। বাঙালিরা অলঙ্কারের পাশাপাশি সঞ্চয়ের জন্য রুপোকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
বাজারের ওঠানামার কারণ ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা
সোনা ও রুপোর দাম বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেমন: বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দর, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার পরিবর্তন। বর্তমানে বাড়তি আমদানি এবং স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও দাম বাড়লেও বাঙালির মন থেকে সোনার প্রতি ভালোবাসা কমে না; বরং এই দাম বৃদ্ধি তাদের চিন্তাভাবনাকেও প্রভাবিত করে। আগামী দিনে এই মূল্য ওঠানামা কেমন থাকবে তা আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিস্থিতি ও স্থানীয় বাজারের গুরুত্ব সহকারে নির্ভর করবে।
সুতরাং, যতই দাম ওঠানামা করুক না কেন, সোনা ও রুপো বাঙালির জীবনে আজও সুরক্ষার, সঞ্চয়ের ও সাংস্কৃতিক মর্যাদের প্রতীক হিসেবে অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তারা সোনার বাজার সম্পর্কে অনুসরণ প্রবণ থাকেন, যেন সঠিক সময়ে সোনা কিনে বা বিক্রি করে ভালো সুবিধা নিতে পারেন।
এই উপাত্ত ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায়, কলকাতায় আজকের সোনা এবং রুপোর বাজার উত্তেজনাপূর্ণ ও অস্থির, যা ভারতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বলে।