রাজ্যের মানুষ এখন উত্তাল হকার উচ্ছেদ নিয়ে, বিশেষ করে কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের সমস্ত হকারদের উচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয় হকারদের উচ্ছেদ। তবে বৃহস্পতিবার হকারদের (Hawkers) আন্দোলনের তীব্রতা এতোটাই বেড়ে গিয়েছে তা দেখে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন এখন এক মাস হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। অর্থাৎ এক মাস সময় দেওয়া হল।
এই সবের মধ্যেই রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) একটি প্রকল্প আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে। গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পটি রাজ্যের হকারদের জন্য চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের পৌরসভা এলাকা গুলিতে ব্যবসা করা হকারদের ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও যারা গ্ৰাম থেকে এসে পৌরসভায় এসে ব্যবসা করছেন তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
হকারদের জন্য ৮০০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার!
এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে আগের বছর যে নিয়ম ছিল সেই নিয়মেই পৌরসভায় আবেদন জানাতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে সরকার হকারদের ৮০ হাজার টাকা ঋণ (Hawkers Loan) দিয়ে থাকেন। তবে একবারে পুরো টাকা দেওয়া হয় না। তিনটি ধাপে টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমে ১০ হাজার টাকা, তাঁর পর সেই টাকা শোধ করলে ২০ হাজার টাকা। ২০ হাজার টাকা শোধ করার জন্য এক বছর সময় দেওয়া হয়ে থাকে। ওই টাকা শোধ হয়ে গেলে তাঁর পর আবার ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য লোন
সাধারণত দুর্গা পূজোর সময় মানুষের জামা-কাপড় কেনার হিড়িক বেড়ে যায়। সেই সময় বড়ো বড়ো ব্যবসায়ীরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থ থেকে বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণে সামগ্ৰী কেনে। কিন্তু, ছোট ব্যবসায়ী বা হকাররা অর্থের অভাবে বেশি সামগ্ৰী কিনতে পারেনা। একইভাবে অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানে বা সিজেনের সময় পুঁজির প্রয়োজন হয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছোট ব্যবসায়ী বা হকারদের কথা ভেবে ২০২৩ সালের দুর্গা পুজোর আগে এমন একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছিলেন রাজ্যের হাজার হাজার হকার তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। এখনো এক বছর হয়নি। অর্থাৎ এই প্রকল্পের টাকা শোধ করা বা টাকা নেওয়ার সুযোগ এখন ও রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবছর ও আগের বছরের মতো হকারদের টাকা দেবেন। এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে হকারদের নিয়ে যখন রাজ্য সরকারের মাথাব্যথা তৈরি হয়েছে। সেই সময় আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।