প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরই বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজের সুবিধার্থে আধার কার্ড কার্যকর করা হয়েছিল, আর তারপর থেকেই ধীরে ধীরে সমগ্র দেশের নাগরিকদের কাছে আধার কার্ডের গুরুত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বর্তমানে রেশন কার্ড থেকে শুরু করে প্যান কার্ড এমনকি ভোটার কার্ডের সঙ্গেও আধার কার্ড যুক্ত করা বাধ্যতামূলক, শুধু তাই নয়, বাড়িতে গ্যাস কানেকশন পাওয়া থেকে শুরু করে শিশুকে স্কুলে ভর্তি করা সমস্ত ক্ষেত্রেই আধার কার্ড প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে আধার কার্ডটিতে একটু ভালো করে নজর দিলেই দেখা যাবে যে, আধার কার্ডে একটি QR কোড রয়েছে। কিন্তু আধার কার্ডে কিউআর কোড -এর প্রয়োজনীয়তা কি? এই প্রশ্নটি প্রত্যেক নাগরিকের মনে কোনো না কোনো সময় অবশ্যই এসেছে। আর আজ আমরা আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই হাজির হয়েছি।
বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আধার কার্ডে যে QR কোডটি রয়েছে তার মাধ্যমে আধার কার্ডধারী ব্যক্তি সম্পর্কে সমস্ত প্রকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব। আধার কার্ডের কিউআর কোডের মাধ্যমে আপনার নাম, বয়স, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, জেন্ডার -এর মত তথ্যগুলি সম্পর্কে জানা সম্ভব এবং আধার কার্ড যে ছবিটি রয়েছে তাও দেখা সম্ভব। এছাড়াও আধার কার্ডের পিছনে থাকা এই কিউআর কোডে আধার কার্ডধারী ব্যক্তির মাস্ক করা মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল এড্রেস থাকে, যার মাধ্যমে এই সমগ্র দেশের এত সংখ্যক নাগরিকের মধ্যে থেকে আপনাকে খুঁজে নেওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়। UIDAI -এর তরফে সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সরকারি এবং বেসরকারি কাজে আধার কার্ড প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই সমস্ত কাজগুলি সম্পন্ন করার সময় কোনো ব্যক্তি যাতে নকল আধার কার্ড সাবমিট না করতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্যই UIDAI -এর তরফে আধার কার্ডের পিছনে এই কিউআর কোডটি যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- পি এম কিষাণের ১৪ তম ইনস্টলমেন্টের অনুদান প্রদানের তারিখ পরিবর্তন করা হলো, কবে পাবেন টাকা?
অর্থাৎ আসল আধার কার্ড এবং নকল আধার কার্ড পৃথক করার ক্ষেত্রেও আধার কার্ডে থাকা এই কিউআর কোডটি যথেষ্ট কার্যকরী। এর পাশাপাশি আরো জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন রাজ্যগুলির রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে। এই সমস্ত প্রকল্পগুলির আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যক্তিকে কতগুলি বিশেষ শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যেকোনো প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যক যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু অযোগ্য নাগরিক এই সমস্ত প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানিয়ে থাকেন। তবে যেকোনো প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে যোগ্য এবং অযোগ্য নাগরিকদের পৃথক করার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের QR কোডটি যথেষ্ট কার্যকরী, এমনটাই দাবি করা হয়েছে প্রশাসনিক ক্ষেত্রের কর্মকর্তাদের তরফে।
QR কোড স্ক্যান করেই আধার কার্ডের তথ্য যাচাই করা সম্ভব :-
এখন আপনি চাইলে বাড়িতে বসে আপনার আধার কার্ডটি আসল নাকি নকল তার সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে UIDAI -এর তরফে কার্যকরী AADHAAR QR SCANNER অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর https://play.google.com/store/apps/details?id=in.net.uidai.qrcodescanner থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এই অ্যাপের মারফত নিজের আধার কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে আপনি আপনার আধার কার্ডটি আসল নাকি নকল তার সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। মূলত আধার কার্ড নকল করার মত অন্যায়গুলি বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই UIDAI -এর পক্ষ থেকে এই অ্যাপটি লঞ্চ করা হয়েছে। সুতরাং আপনিও যদি আপনার আধার কার্ড নিয়ে কোনোরকম দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগে থাকেন, তবে UIDAI -এর পক্ষ থেকে কার্যকরী এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজের আধার কার্ডের কিউআর কোডটি স্ক্যান করে দেখুন।