অসমের জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের অকাল মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। সিঙ্গাপুর থেকে অফিসিয়াল ডেথ সার্টিফিকেটে এলেও, অসম সরকার জানিয়েছে এটি সর্ব শেষ ফলাফল নয়। ফলে ভক্ত থেকে শুরু করে পরিবারের কাছে অনিশ্চয়তা ও ধোঁয়াশাই রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে গুজব, জল্পনা আর প্রশ্ন—সব মিলিয়ে ঘটনা ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে।
মৃত্যু সনদের দ্বন্দ্ব
সিঙ্গাপুর সরকারের পাঠানো সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে—জুবিনের মৃত্যু হয়েছে ডুবে যাওয়ার ফলে। কিন্তু অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, এই সার্টিফিকেটকে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে ধরা সম্ভব নয়। কারণ এটি শুধুই প্রাথমিক মৃত্যু শংসাপত্র। তিনি পরিষ্কার করেছেন, আসল ময়নাতদন্তের অফিসিয়াল নথি এখনও হাতে আসেনি। আর সেই রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর সত্যি পুরোপুরি স্পষ্ট হবে না।
সরকারের পদক্ষেপ
ইতিমধ্যে জুবিনের মৃত্যু ঘিরে একের পর এক এফআইআর দায়ের হয়েছে, যেগুলির তদন্ত করছে সিআইডি। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সব অভিযোগ একত্রিত করে সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করা হবে। সরকারের শীর্ষকর্তারা সিঙ্গাপুর দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, যেন দ্রুত অফিসিয়াল রিপোর্ট ভারতের হাতে আসে।
এদিকে, সিঙ্গাপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ভারতীয় দূতাবাসের উপস্থিতিতে গায়কের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে বহু প্রতীক্ষার পর পৌঁছেছে গুয়াহাটি।
পরিবারের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া
এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন আবেগঘন বার্তা। তিনি জানিয়েছেন, জুবিনের বহু কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে—যা একা শেষ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি চান না, স্বামীর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চলা এফআইআরগুলির বোঝা এই মুহূর্তে বহাল থাকুক।
অপেক্ষায় ভক্তরা
সব মিলিয়ে মৃত্যু সনদে যা লেখা আছে, তার সঙ্গে বাস্তব সত্যি কতটা মিলবে, তা নিয়ে ভক্তদের মনে দ্বিধা ও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। অনেকে মানতে পারছেন না এভাবে প্রিয় শিল্পীর জীবন থেমে যেতে পারে। এখন চোখ শুধু সিঙ্গাপুরের মূল ময়নাতদন্ত রিপোর্টের দিকে—যা হয়তো খুলে দেবে এই অকাল মৃত্যুর প্রকৃত কারণের রহস্য।