আজ ভোর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ঘন কালো মেঘ। সকালবেলায় জানালা খুলে দেখেই অনেকে বুঝে গিয়েছেন—আজ দিনের আবহাওয়া (Weather)মোটেই সুবিধার হবে না। হালকা বাতাস, তারপরেই শুরু হালকা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। দুপুর গড়াতেই সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে পারে বলেই সতর্ক করছে হাওয়া অফিস। তবে এর পিছনে আসল কারণটা কী? জানতে হলে সুম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়তে থাকুন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলে তৈরি হওয়া এক গভীর নিম্নচাপের ফলেই বাংলার আকাশে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে। দ্বাদশীর দিন অর্থাৎ শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় আজ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, নদীয়া, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমানসহ একাধিক জেলায় মাঝারি বৃষ্টি চলবে, সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে চলেছে। সাথে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ বেশিরভাগ সময়ই মেঘে ঢাকা থাকবে।
তবে পরিস্থিতি যে শুধু মাত্র দক্ষিণবঙ্গেই খারাপ থাকবে তা একদমই না। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে চলেছে। সেখানে আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা নিয়ে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরেও দেওয়া হয়েছে কমলা সতর্কতা। বিশেষজ্ঞদের মতে এইসব জেলায় পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও একদমই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে রবিবারও এই বৃষ্টির চিত্র বদলাচ্ছে না।ছুটির দিনেও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা ভিজবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে। উত্তরবঙ্গে চলবে অতি ভারী বৃষ্টি, যার জেরে বহু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা। গুরুতর সতর্কতা জারি করা হয়েছে পর্যটন এলাকাতেও। ছুটির দিনেও তাই সাবধান থাকতে হবে ভ্রমণপ্রেমীদের।
সবশেষে, সবচেয়ে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। কারণ, বঙ্গোপসাগর ও ওড়িশা উপকূল এলাকায় সমুদ্র এখন উত্তাল। ঘণ্টায় ৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে পূর্বাভাস। তাই আপাতত সমুদ্রে না যাওয়ারই কড়া নির্দেশ দিয়েছে হাওয়া অফিস।