আজ সকাল থেকেই গোটা দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া (Weather) যেন তটস্থ হয়ে রয়েছে। শহর কলকাতা থেকে গ্রামীণ বাংলার বহু জেলায় সকাল থেকেই আকাশ ঘন মেঘে ঢাকা, সঙ্গে রয়েছে গুমোট গরম আর চাপা অস্বস্তি। তবে এরই মধ্যে হাওয়া অফিস থেকে এসেছে কড়া সতর্কতা—রাজ্যের একাধিক এলাকায় বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গ
শহরের পথে পথে দুপুর থেকেই নামতেই পারে বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টি এবং তারই সঙ্গে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিমি বেগে দাপুটে হাওয়ার। জানা যাচ্ছে কলকাতা থেকে শুরু করে নদীয়া, হুগলি, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদসহ প্রায় সব জেলায় এই সতর্কতা জারি হয়েছে। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে, অবাঞ্ছিত বেরোনো এড়িয়ে চলার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ
দুই দিনাজপুর, কোচবিহারসহ মালদাতেও প্রায় একই ছবি আজ। বজ্রঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা সাথে তো রয়েছেই দমকা হাওয়া। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প এসে বৃষ্টির হার বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষকদেরও কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
সামনে আরও ভয়ঙ্কর সময়
আগামীকাল, অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্যোগ আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান বা আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভারী বর্ষণের ইঙ্গিত দিয়ে একাধিক সরকারি বিজ্ঞপ্তি সামনে এসেছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে হাওয়া চলাহুঁশিয়ারিও রয়েছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও বিরামহীন বৃষ্টির বিশেষ সতর্কতা রয়েছে।
সার্বিক সতর্কতা ও পরামর্শ
গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির পাশাপাশি গুমোট ভ্যাপসা গরমও দোসর হয়ে থাকছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা মাথায় রেখে, পরিবার এবং নিজস্ব সম্পত্তির সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখন—চাষের মাঠ থেকে শহরের রাস্তা, সর্বত্রই বাহিরে বেরোতে হলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে। তাই সাবধানে থাকুন সুস্থ থাকুন।