গত সপ্তাহে তামিলনাড়ুর কারুরে রাজনৈতিক সমাবেশে ঘটে যাওয়া পদপিষ্টের ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক আবহে নেমেছে তীব্র আলোড়ন। দীর্ঘ দশ দিন মুখে কোনো মন্তব্য না করে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা ও ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগম’ দলনেতা বিজয় (Vijay)। রোববার নিহতদের কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে সরাসরি কথা বলেন তিনি। তবে এই যোগাযোগের সময় এবং পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিজয়ের দলের প্রথম বড় সভায় হাজার হাজার সমর্থক জমায়েত হয়েছিলেন কারুরে। ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হয় আয়োজকরা, আর সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ৪১ জন, আহত হন অনেকে। প্রশাসনিক ব্যর্থতার পাশাপাশি আয়োজকদের প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। বিজেপি ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে একে ‘পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছে। এমন অবস্থায় শনিবার মাদ্রাজ হাই কোর্ট বিজয়কে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনা করে।
ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, বিজয় ভিডিও কলে প্রতি পরিবারকে আলাদা ২০ মিনিট সময় দিয়েছেন ও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, কিছু সাময়িক সমস্যার জন্য যোগাযোগে দেরি হয়েছে। আলাপের সময় অভিনেতার টিম পরিবারগুলোকে অনুরোধ করে যেন কোনো স্ক্রিনশট বা ভিডিও ধারণ না করা হয়। বিজয় ব্যক্তিগতভাবে সবার বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পরদিনই প্রতিটি নিহতের পরিবারের জন্য ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছিলেন বিজয়। তবে রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মর্মান্তিক ঘটনা ‘টিভিকে’ দলনেতার জন্য বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। সমাবেশে প্রাণহানির প্রভাব শুধুমাত্র মানবিক নয়, বড় ধরনের রাজনৈতিক পরীক্ষায়ও ফেলছে দক্ষিণী এই তারকাকে। এখন দেখার বিষয়, জনমানসে আস্থা ফেরাতে কতটা সফল হন নবীন রাজনীতিবিদ।