টলিউডের জনপ্রিয় মুখ মধুমিতা সরকার আবার আলোচনার কেন্দ্রে।আসন্ন মাসগুলো অভিনেত্রীর জীবনে যেন এক নতুন মোড়ের অপেক্ষা তৈরি করছে। পেশাগত পথচলার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও ঘটতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন। ফলে এখন তাঁর দিন কাটছে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে— কখনও ক্যামেরার সামনে, আবার কখনও একান্ত ব্যক্তিগত পরিকল্পনায়।
ছোটপর্দায় নতুন শুরু
বেশ কিছু বছর ধরে টেলিভিশন থেকে দূরে ছিলেন মধুমিতা। এবার সাত বছরের সেই বিরতি ভেঙে ফিরেছেন স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ভোলেবাবা পার করেগা-র হাত ধরে। এই সিরিয়ালে ঝিল নামের এক মেয়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে, যে অশান্ত পরিবার থেকে উঠে এসে গানকে হাতিয়ার করে জীবনে খুঁজে নেয় আশার আলো। চরিত্রের দিক থেকে এটি একেবারেই তাঁর বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি নয়। মধুমিতার নিজের কথায়, তিনি বাস্তবে ঠিক বিপরীত রাগ সামলান চুপচাপ থেকে, অথচ ঝিল তা প্রকাশ করে ঝড়ের মতো। আর এই বৈপরীত্যই চরিত্রটিকে তাঁর কাছে রোমাঞ্চকর করে তুলেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ততা
কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও আসছে পরিবর্তন। জীবনের নতুন পথচলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিনেত্রী। ক্যামেরার বাইরে তিনি এ মুহূর্তে যতটা ব্যস্ত, তার অন্যতম কারণ জীবনের আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত। অনেকেই জল্পনা করছিলেন— এবার কি তিনি গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন? উত্তরটা হ্যাঁ। তার হবু বর হতে চলেছেন ছোটবেলার বন্ধু দেবমাল্য চক্রবর্তী। তবে দিনক্ষণ খোলাখুলি ঘোষণা করেননি। কেবল জানালেন, আর কয়েক মাসের মধ্যেই সেই শুভ দিন আসছে।
অঘোষিত দিন
বিয়ে নিয়ে উৎসাহ যতই থাকুক, প্রস্তুতিতে এখনও খানিক শ্লথ গতি। তবে আভাস দিয়েছেন— হাতে সময় খুব বেশি নেই। তবু কেনাকাটা বা আয়োজন এখনো গুছিয়ে শুরু করা হয়নি। নায়িকার কথায়, উৎসবের মরসুমে সেসব এগোবে। তারপর বাকি দিনগুলোয় একেবারে ঝড়ের বেগে চলবে পরিকল্পনা।
অপেক্ষা
নতুন ধারাবাহিকের কাজের চাপে আপাতত নিজের জন্য সময় খুব বেশি বার করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রথম দিককার শুটিং-এর ব্যস্ততা সামলে উঠলেই শুরু হবে পরের অধ্যায়— বিয়ের যাবতীয় আয়োজন। সব মিলিয়ে, জীবনের দুই দিক— অভিনয় আর সম্পর্ক— একসঙ্গে এগোচ্ছে অভিনেত্রীর। দর্শকের জন্য যেমন রয়েছে সিরিয়ালের চমক, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনের সারপ্রাইজ এখনও অমোঘ রহস্যে ঢাকা।