ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বকে অবাক করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-৩)। এই সাফল্যের পিছনে সবচাইতে বড় অবদান রয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ISRO এর। ছোট থেকেই অনেকের মধ্যে অস্ট্রোনট বা মহাকাশীচারি বা মহাকাশ গবেষণা নিয়ে পড়ার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু কিভাবে এগোতে হবে সেটা নিয়ে কনফিউজড থাকেন অনেকে।
তাই আজ আপনাদের জন্য ইসরোতে চাকরির ইচ্ছা থাকলে কি নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে তার উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। এই প্রতিবেদনটি পড়লেই আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে ইসরোতে নিজের কেরিয়ার গর্তে পারবেন।
ইসরোতে চাকরি যদি আপনার স্বপ্ন হয়ে থাকে তাহলে উচ্চমাধ্যমিকে অবশই বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন থাকতেই হবে। বিশেষত অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যা আবশ্যক।
এবার আসি উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের কথায়। উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। আর ইসরোতে চাকরির ইচ্ছা থাকলে উচ্চমাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর থাকতে হবে। কারণ এটা না হলে JEE MAINS বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাভ্যানস্ড দিয়ে ভালো কলেজে বিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবে না।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সময় বেশ যে বিষয়গুলি নিতে হবে সেগুলি হল মেকানিক্যাল, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে পরে থাকলে ইসরোতে চাকরি বা প্রবেশ অনেকটাই সহজ হয়ে যেতে পারে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নূন্যতম ৬৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। তাহলে ইসরো সেন্ট্রালাইসড রিক্রুটমেন্ট বর্ডার পরীক্ষায় বসতে পারবে। সেখানে পাশ করে ইন্টারভিউ দিয়ে প্রার্থী বাছাই হবে।
এছাড়াও নাশতকোত্তর পড়াশোনার পরেও ইসরোতে আবেদন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউতে পাশ করলে ইসরোতে চাকরি পাওয়া যাবে।
তাছাড়া ইসরোতে বিজ্ঞানী বা গবেষক হিসাবেও প্রবেশ করা যায়। সেক্ষেত্রে M.Sc, M.Tech বা PhD করা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। তবে প্রার্থীদের জিওফিজিক্স, অ্যাপ্লায়েড ম্যাথজিওইনফরম্যাটিক্স, ইনস্ট্রুমেন্টেশন এর ওপর ডিগ্রি থাকতে হবে।