সম্প্রতি ‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন’ (CDSCO)-এর সর্বশেষ রিপোর্ট থেকে জানা গেল, ওষুধের গুণগত মানের পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামও অনুত্তীর্ণ হয়েছে এবারের পর্যালোচনায়। গত মাসে দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলির মধ্যে রয়েছে মোট ৯৭ ধরনের পণ্য, যার মধ্যে অধ্যুষিত অংশ ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম। কলকাতার কেন্দ্রে ১৭টি দ্রব্যের নমুনার পরীক্ষা হয়েছিল, বাকিগুলি দেশের অন্যান্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।
প্রতিটি নমুনার গুণগত মান খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে প্যাকেটের ওপর লেখা উপাদান আসলে ওই ওষুধে উপস্থিত নেই। আবার, ইনজেকশন শিশিতে জীবাণুও পাওয়া গিয়েছে। আরও উদ্বেগজনক, বেশ কিছু নামী ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে ইচ্ছাকৃতভাবে জাল ওষুধ বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে—পরে পরীক্ষার সময় তা ধরা পড়ে।
এ ছাড়াও, জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক, স্নায়ুরোগ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী, প্যারাসিটামল, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধকারী, ডায়েরিয়া ও বমি ঠেকানো, চোখের সংক্রমণ-সহ বহু রোগের ওষুধ এই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
অভিজ্ঞ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় ফেল করা ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, স্যালাইন ও চিকিৎসা সরঞ্জামগুলির অধিকাংশ উৎপাদন হয়েছিল হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন কারখানায়। গুণগত মানে ঘাটতি কোথাও কোথাও নেফ্রোলজি বা ইউরোলজির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ক্যাথিটারেও ধরা পড়েছে; আবার রোগীর শরীরে তরল ওষুধ ঢোকানোর ইনফিউশন মেশিনেরও মান পরীক্ষায় খারাপ হয়েছে।
ফলস্বরূপ, রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে, সন্দেহজনক ব্যাচ নম্বর চিহ্নিত প্রতিটি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম অবিলম্বে হাসপাতাল, ফার্মেসি সহ সব জায়গা থেকে অবিলম্বে তুলে নেওয়া হোক, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে।