দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) সকাল এখন বদলে যাচ্ছে, ভোরের হাওয়ায় লেগেছে নতুন ছোঁয়া। যাঁরা সকালে হাঁটতে বেরোচ্ছেন, তাঁদের গায়ে হালকা শীতের পরশ টের পাচ্ছেন অনেকেই। আকাশ পরিষ্কার, বাতাস শুকনো, আর ভোরের দিকে সূর্যের আলোও এখন তেমন কঠিন নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আপাতত রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, আর ঝাড়গ্রামের কিছু অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
তবে এই ঠান্ডা এখনই পূর্ণ শক্তিতে নামেনি। উত্তরের হাওয়া এখনও পুরোপুরি ঢোকেনি রাজ্যে, তাই শীতের স্বাদ মিললেও তা কনকনে নয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই উত্তর দিকের ঠান্ডা হাওয়া ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে। তারপরই রাতের পারদ পড়বে চোখে পড়ার মতো।
উত্তরবঙ্গে এখন তুলনামূলকভাবে মনোরম আবহাওয়া। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে আকাশে মেঘের আনাগোনা, কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাতের দিকে তাপমাত্রা দ্রুত নামছে, দিনে গরম থাকলেও ভোরবেলার হিম ছুঁয়ে যাচ্ছে শরীরকে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ১৭ অক্টোবর থেকে রাজ্যে রাতের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে নেমে যাবে। মোটামুটি ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে রাজ্যের তাপমাত্রা। তবে কোথাও কোথাও পুরুলিয়ায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁয়ে যেতে পারে। কালীপুজোর সময়, অর্থাৎ ১৮ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা—কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমান—জুড়ে হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টি ভারী বা দীর্ঘস্থায়ী নয়, বরং ঋতুর বদলের আগমনী বার্তা।
গ্রাম থেকে শহর—সকালের কুয়াশা এখন নিয়মিত অতিথি। মাঠে, রাস্তার ধারে, এমনকি শহরের গলিতেও নরম ধোঁয়ায় ঢাকা দিগন্ত যেন শীতের আগমনকেই জানান দিচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলার বাতাস এখন বলছে—শীত আর বেশিদিন দূরে নয়। কালীপুজোর পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হতে পারে প্রকৃত শীতের অধ্যায়।