আজকের নবমীর (Nobomi) দিনে দক্ষিণবঙ্গে উৎসবের আবহে নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আবহাওয়া। অষ্টমীর সকাল থেকে রোদঝলমলে আকাশ থাকলেও, দুপুর গড়াতেই মেঘলা হয়ে ওঠে শহর কলকাতা। ঝিরঝিরে বৃষ্টি ফিরে আসায় পুজোর আমেজে ছন্দ কিছুটা হলেও পড়েছে। ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে নিরবচ্ছিন্ন আনন্দ থাকলেও অষ্টমী থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, আর সেই ধারাই নবমীতে আরও প্রকট হতে চলেছে।
দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগরে গঠিত ঘূর্ণাবর্ত ক্রমেই নিম্নচাপে রূপ নিচ্ছে। এর প্রভাব আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সরাসরি পড়বে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশেষত উপকূল সংলগ্ন এলাকা—দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে দশমীর দিন অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জোরদার হয়ে উঠছে।
উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি সতর্কতা
রাজ্যের উত্তর অংশেও চলছে সতর্কতা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে আরও বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় পুজোর পরিকল্পনায় ভাটা পড়তে পারে। এই সকল জেলায় আজ থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা হলুদ সতর্কতা কার্যকর রাখা হয়েছে।
জনজীবনে প্রভাব
এই আবহাওয়ায় পুজোকে ঘিরে মানুষের পরিকল্পনায় বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। নবমীতে বিদায়ের আবহে অনেকেই প্যান্ডেল হপিং এড়িয়ে ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। যারা বাইরে যাচ্ছেন, তাঁদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ছাতা বা রেইনকোট না নিলে বিপদ বাড়তে পারে, আর ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ফাঁকা মাঠ-ময়দান কিংবা বিজ্ঞাপনী ফ্লেক্সের কাছাকাছি যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তাই উৎসবের শেষে প্রকৃতিও যেন তার নিজস্ব বিদায় সূচনা করল। নবমীর এই ভিজে সন্ধ্যায় ভেসে উঠেছে এক মিশ্র ছবি—একদিকে আনন্দের রঙ, অন্যদিকে প্রকৃতির অদম্য শক্তির স্মরণ।