পুজো শেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে (Sonarpur) রাজনীতির আবহ বদলাতে শুরু করেছে। প্রতাপনগর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য কার্তিক সরদারের ঘাসফুল শিবিরে যোগদানকে কেন্দ্র করে এলাকায় জোর চর্চা চলছে। আগামী ভোটের আগে তাঁর এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসাবে দেখছেন স্থানীয়রা।
গত রবিবার রাজপুর রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের মঞ্চেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র, সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সাথে আরও ছিলেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস এবং সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলাই বারিকসহ দলের অন্যান্য দলকর্মীরাও। ফুলের মালা ও পতাকা দিয়ে নবাগতকে স্বাগত জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
যোগদানের পর কার্তিক সরদার জানান, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শই সঠিক পথ। সভামঞ্চে বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেন, তৃণমূলের শক্তি একটাই—এর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মানুষের জন্য কাজ করেন, তাই মানুষও তাঁর উপর আস্থা রাখেন।
অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, কার্তিক সরদারের এই দলবদল সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আদর্শে মিল না থাকায় তিনি যেখানে ছিলেন, সেখানে ফিরে গেছেন। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, বিজেপি না মানতে চাইলেও এই যোগদান সোনারপুরে পদ্মশিবিরের সংগঠনকে যথেষ্ট দুর্বল করল, বিশেষত গ্রামীণ স্তরে।
অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারসহ বিরোধী সব দলই মোটামুটি এখন থেকেই পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কমিশনের ইঙ্গিত অনুযায়ী, SIR সমাপ্তির তিন মাস পরেই ভোট হতে পারে। তাই ভোট আর বেশি দিন বাকি নেই। সেই প্রেক্ষিতে তৃণমূল, বিজেপি—সব দলই নিচুতলা থেকে সংগঠন মজবুত করতে ব্যস্ত। সোনারপুরে এই পালাবদল সেই রাজনৈতিক লড়াইটাকেই আরও তীব্র করে তুলল।