বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুনকে দেশে ফেরানোর পথ আরও কিছুটা খুলল ঢাকা হাইকোর্টের (Dhaka High Court) নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা ও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারতীয় হাইকমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যদিও ঠিক কবে এবং কীভাবে এই প্রক্রিয়া এগোবে, সে বিষয়ে সরকারি স্তরে এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ অনুসারে, পাইকর থানার বাসিন্দা সোনালি ও সুইটি সহ মোট ছ’জনকে গত জুনে দিল্লি থেকে ধরে অসম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছিল বিএসএফ। সেই থেকে তাঁরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে বন্দি। নথিগত জটিলতায় তাঁদের জামিনের প্রক্রিয়া বারবার বিলম্বিত হচ্ছে। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দিল্লি পুলিশের বিদেশি সন্দেহে আটক ও ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিল।
তবে বাংলাদেশের আদালতে সোনালিদের মামলার শুনানি এখনও চলছে। এই মামলায় শেষ শুনানি হয় ২৯ সেপ্টেম্বর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, নথি যাচাইয়ে জটিলতার কারণে জামিন এখনও মেলেনি। এই সঙ্কটকালে সোনালিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সামিরুল ইসলামের প্রতিনিধি মফিজুল শেখ। তাঁর দাবি, ঢাকার আদালতের নতুন নির্দেশে অন্তত পরিবারের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার এই নির্দেশের কপি প্রকাশ্যে এলেও ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। ফলে দেশে ফেরার পথে সোনালির যাত্রা কবে শুরু হবে, তা জানতে সবাই তাকিয়ে আছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।