টেলিভিশনের চেনা মুখ শ্বেতা ভট্টাচার্যকে (Shweta Bhattacharya) নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। পর্দায় প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। নায়িকা মানেই কেন্দ্রীয় চরিত্র আর এই জায়গাটা শ্বেতা বরাবরই শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন। ১৭ বছরের অভিনয়জীবনে বাংলা ধারাবাহিকে একাধিক জনপ্রিয় চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তবে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তাঁর অভিনয় নয়, বরং তার ব্যক্তিগত জীবনধারা—বিশেষ করে পোশাক নিয়ে অবস্থান।
একটি সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শ্বেতা সাফ জানিয়ে দেন—তিনি কখনই স্লিভলেস পোশাক পরেন না, ভবিষ্যতেও পরবেন না। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই পরিষ্কার—অভিনেত্রী হিসেবে নিজের ক্ষমতা প্রমাণ হয় অভিনয় দিয়েই, পোশাকের কাটছাঁট দিয়ে নয়।
এই মন্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয় অনলাইন ঝড়। কেউ শ্বেতার অবস্থানকে সাধুবাদ জানান, আবার কেউ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এই আলোচনার মাঝেই উঠে আসে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাই পল্লবীর নাম। তুলনা করা হয় দু’জনের পোশাক ও ব্যক্তিগত মতামতের। তবে শ্বেতা হেসেই বললেন—“সত্যি বলতে কী, আমি ওঁকে চিনিই না, কাজও দেখা হয়নি কখনও।”
শ্বেতার সেই বক্তব্যে অনেকের বিস্ময় হলেও যাঁরা তাঁর দীর্ঘদিনের অনুরাগী, তাঁদের কাছে বিষয়টা নতুন কিছু নয়। প্রায় সবসময়ই তাঁকে দেখা গেছে শাড়ি বা ভারতীয় পোশাকে। সেটাই যেন তাঁর অভিনয় জীবনের আলাদা পরিচিতি গড়ে দিয়েছে। তবে তিনি নিজের অবস্থান নিয়ে পরিষ্কার—এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত রুচি, অন্য কারও জীবনে চাপিয়ে দেওয়ার বা সমালোচনা করার বিষয় নয়। বরং তিনি বলেন, যাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে আধুনিক পোশাক পরেন, তাঁদের আত্মবিশ্বাসকে তিনি আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানান।
বিতর্ক বা ট্রোল তাঁকে খুব একটা নাড়া দেয় না। শ্বেতার ভাষায়, শিল্পী হিসেবে তাঁর মূল কাজ দর্শকদের বিনোদন দেওয়া। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তাঁর নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে চান, সেটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবশেষে বলতে গেলে, শ্বেতা ভট্টাচার্যের পোশাক নিয়ে যতই বিতর্ক তৈরি হোক না কেন, তাঁর জন্য এটি শুধুই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।