বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক তাপমাত্রা চরমে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ইঙ্গিত দিতেই পাল্টা হামলায় নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। তিনি এবার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে একেবারে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন।
শুক্রবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, যা শুভেন্দুর ভাষায় ছিল “Below the Belt” আক্রমণ। বিরোধী নেতার দাবি, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজনের মুখে এ ধরনের মন্তব্য শোভনীয় নয়। তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন—“সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে যদি দুর্নীতির প্রমাণ প্রকাশ না করা হয়, তবে আমরাও মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আমলাদের একাধিক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আনব।”
শুভেন্দুর বক্তব্য এখানেই থেমে থাকেনি। তিনি আরও বলেন, প্রমাণ না মিললে দীপাবলির পর কয়েক হাজার কর্মী ও ৫০-৬০ জন বিধায়ক নবান্নের নীচে অবস্থান-বিক্ষোভে বসবেন, যা চলবে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত না হাওয়া পর্যন্ত।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জনসমক্ষে মনোজ আগরওয়ালকে আক্রমণ করে বলেন, “যিনি CEO, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে, সময় এলে জানাব। তিনি অফিসারদের হুমকি দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন তবে তিনি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত।” এই মন্তব্যের পরেই প্রশাসনের একাংশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, রাজনৈতিক মহলেও তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।
সব মিলিয়ে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া (SIR) শুরুর ঠিক আগেই প্রকাশ্যে তৃণমূল ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এমন সংঘাত প্রশাসনিক প্রস্তুতিকে এক নতুন চাপের মুখে ফেলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাজে তীব্র অসন্তোষের ইঙ্গিত, আর শুভেন্দুর পাল্টা চাপ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বিরোধী শিবির প্রশাসনিক ইস্যুকে বড় নির্বাচনী হাতিয়ার হিসাবে বানাতে চলেছে।