ফের করা নির্দেশ জারি করলো বিজেপি সরকারএবার স্কুলের পাঠ্যবইয়েও (Text Book) থাকবে রামায়ণ-মহাভারত (Ramayan & Mahabharat)। স্কুলের সিলেবাসে (Syllabus) অন্তর্ভুক্ত হবে এই দুই মহাকাব্য। এমনটাই সুপারিশ এনসিইআরটি-র। এনসিইআরটি-র ৭ সদস্যের কমিটি সোশ্যাল সায়েন্সের (Social Science) সিলেবাসে একাধিক সুপারিশ করেছে। যেখানে, স্কুলের পাঠ্যক্রমে অবশ্যই রামায়ণ-মহাভারত পড়ানোর বিষয়টি সুপারিশ করা হয়েছে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)-এর তৈরি একটি উচ্চ স্তরের কমিটি স্কুলস্তরে সোশ্যাল সায়েন্সের পাঠ্যক্রমে পুনর্মূল্যায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে। যেখানে রামায়ণ এবং মহাভারতের মতো মহাকাব্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এবং শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে সংবিধানের প্রস্তাবনা লেখার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির চেয়ারপার্সন সি আই আইজ্যাক এ কথা জানিয়েছেন। ২০২০ সালে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি বা জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে মিল রেখেই এই পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিইআরটি। আর সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে এবার সোশ্যাল সায়েন্সে আসতে চলেছে নতুন বই।
এই সুপারিশগুলি বিবেচনা করে দেখবে ১৯ সদস্যের ন্যাশনাল সিলেবাস অ্যান্ড টিচিং লার্নিং কমিটি। এবং, তারপরেই চূড়ান্ত করা হবে পাঠ্যপুস্তকে রামায়ণ বা মহাভারতের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা। সে ক্ষেত্রে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হবে এই দুই মহাকাব্য।
এই প্রসঙ্গে অনুসারে এনসিইআরটির চেয়ারপার্সন আইজ্যাক বলেন, ‘কমিটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক বিজ্ঞানের পাঠ্যসূচিতে রামায়ণ এবং মহাভারতের মতো মহাকাব্য শেখানোর জন্য জোর দিয়েছে। আমরা মনে করি যে ছাত্ররা তাদের কিশোর বয়সেই তাদের আত্মসম্মান দেশপ্রেম এবং জাতির জন্য যাতে তাদের গর্ববোধ করে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাবের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশ ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে নাগরিকত্ব নেয়। তাই তাদের শিকড় কোথায় সেটা বোঝা উচিত এবং দেশের সংস্কৃতির (Culture) প্রতি তাদের ভালোবাসা গড়ে তোলার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’