খবরের কাগজে বা টিভির পর্দায় আমরা প্রায়ই পড়ি যুব সমাজের আন্দোলনের ঘটনা। কিন্তু সেই ঘটনাই যখন বড়পর্দায় ফিরে আসে, তখন তার প্রভাব একেবারেই অন্যরকম হয়ে। ঠিক এমন এক চিত্রই এবার তুলে ধরতে চলেছেন জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। এই ছবির নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক সময়ের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিধ্বনি— ‘হোক কলরব’।
২৭ আগস্ট অর্থাৎ বুধবার প্রকাশিত হল রাজ চক্রবর্তীর বহুপ্রতীক্ষিত মোশনের পোস্টার । আর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রায় প্রতিটি কোণে। পোস্টারের এক ঝলকই বলে দিচ্ছে সিনেমার আবেগ কোন পথে বইবে। মুহূর্তের মধ্যেই নেটিজেনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উন্মাদনা। কমেন্ট সেকশনে ভেসে আসে প্রত্যাশা আর শুভেচ্ছার বার্তা।
এই সিনেমায় অভিনেতাদের তালিকাও বেশ জমজমাট। একদিকে যেমন রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিজ্ঞ শিল্পী, অন্যদিকে ওম সাহানি, রোহন ভট্টাচার্য, জন ভট্টাচার্য এবং অভিকা মালাকারের মতো তরুণ মুখ। ফলে একঝাঁক পাওয়ারফুল পারফরম্যান্সের আভাস পাচ্ছেন দর্শকরা।
তবে সিনেমার টাইটেল হটাৎ এই ধরণের কেন? জানতে হলে আমাদের ২০১৪ তে ফিরে যেতে হবে। যেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌন নির্যাতনের ঘটনার ন্যায্য তদন্তের দাবিতে গোটা রাজ্য জুড়ে যে প্রতিরোধের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল সেখানেই জন্ম হয়েছিল এক স্লোগানের। আর সেটা ছিল “হোক কলরব” স্লোগান। সেই প্রতিবাদ, সেই অগ্নিগর্ভ দিনগুলো এবার দেখা যাবে বড়পর্দায়।
পরিচালকের সহকর্মীরাও ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। আর সাধারণ দর্শক লিখছেন, “এবার যদি কেউ পারে এই গল্পটা বলতে, তুমি-ই পারবে রাজ।”
সব মিলিয়ে, ‘হোক কলরব’ এখন শুধু একটি আসন্ন সিনেমা নয়, বরং এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের পুনরাভিষেক। এই ছবি নিয়ে এত আলোচনার সব চেয়ে বড় কারণ হল আজকের তরুণেরা জানে বা শুনেছে যাদবপুর আন্দোলনের কথা, কিন্তু সেই আবহ অনুভব করেনি। তাই দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন— কবে থিয়েটারের পর্দায় উঠবে সেই প্রতিধ্বনি, যা একসময় কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে।