পুজোর আনন্দ যখন চূড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছচ্ছে, তখনই ফের দক্ষিণবঙ্গের আকাশে দেখা দিয়েছে শঙ্কার মেঘ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত আবহাওয়া মোটের উপর স্বস্তিদায়ক থাকলেও নবমীতেই ছবিটা একেবারে বদলে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সক্রিয় হয়ে ওঠার জেরে শেষ কয়েক দিনের উৎসব ভিজে যেতে পারে বৃষ্টির দাপটে।
ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী
ষষ্ঠীতে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরোপুরি বজ্রবিদ্যুৎ-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। সপ্তমীতেও পরিস্থিতি প্রায় একই রকম থাকবে, বরং পরিমাণে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস। সপ্তমীতে বর্ষার পরিমাণ কিছুটা কমলেও আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। অষ্টমী পর্যন্ত দিনের বেলায় খানিকটা স্বস্তি মিললেও সন্ধ্যার পর থেকেই নিম্নচাপের প্রভাব সক্রিয় হওয়ার আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
নবমী থেকে একাদশী
নবমী অর্থাৎ পুজোর একেবারে শেষে প্রবল হয়ে উঠতে পারে নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সেই সময় থেকে নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় নামতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। দশমীতে নিম্নচাপ সক্রিয় হয়ে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ঘটাতে পারে। অর্থাৎ উৎসবের শেষ লগ্নে ঝড়বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রতিমা দর্শন ও বিসর্জনের আয়োজনে।
শঙ্কা ও সতর্কতা
সব মিলিয়ে যে সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দফতর তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বলা হয়েছে, পুজোর শেষভাগে ফের জলে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দেবীর বিসর্জন ঘিরেও তাই বিস্তর শঙ্কা। গত কয়েক মাসে বারবার নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে ধাক্কা খেয়েছে সাধারণ জনজীবন। মাত্র কয়েকদিন আগেই কয়েক ঘণ্টার বর্ষণে কার্যত ডুবে গিয়েছিল কলকাতার বড় অংশ। এবারের জমজমাট পুজোর শেষেও ফের সেই কঠিন অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হবে কি না—সেই দুশ্চিন্তায় এখন ভুগছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।
তাই মণ্ডপে ঘোরাঘুরি থেকে দেবীর বিদায়, সর্বত্রই অস্বস্তি ডেকে আনতে পারে এবারের নিম্নচাপ। শেষমেশ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এই পুজোর আবহ হবে আনন্দমুখর, নাকি বৃষ্টিতে ভেসে যাবে দক্ষিণবঙ্গ?