শারদোৎসব (Sharadotsav) মানেই ভিড়, কোলাহল আর ব্যস্ত সময়সূচি। তবে অনেকেরই ইচ্ছে থাকে, এই ভিড় এড়িয়ে কয়েকটা দিন শান্তিতে পাহাড়ি প্রাকৃতিক পরিবেশে কাটিয়ে আসতে। উত্তরবঙ্গের সৌন্দর্যে যেমন দার্জিলিঙ-কালিম্পং-গ্যাংটকের মতো জনপ্রিয় স্থান রয়েছে, তেমনই কিছু অল্প-চেনা গ্রাম আছে যেখানে গেলে খুঁজে পাওয়া যাবে নিভৃত সৌন্দর্য আর নিস্তব্ধতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি বিশেষ ঠিকানা।
1. প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় দার্জিলিঙের কাছে মিমবস্তি। পাহাড়ের কোলে চা বাগান ঘেরা এই ছোট্ট গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য চোখে ধরা দেয়। প্রাচুর্যে ভরা বাহারি ফুলের গন্ধে আর সুমধুর পাখির ডাক এখানে সময় কাটানো যেন অন্য এক অভিজ্ঞতা। শহরের ভিড় থেকে পালাতে চাইলে এই গ্রাম অনন্য। তবে শিলিগুড়ি থেকে এর দূরত্ব মোটামুটি ৭৫ কিলোমিটার।
2. কালিম্পঙের কাছে লেপচা সম্প্রদায়ের গড়ে তোলা শান্ত গ্রাম মিসনতার জঙ্গলে ঘেরা সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। পাশ দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি ঝরনার কলকল শব্দ ভ্রমণকে করে তোলে আরও রোমাঞ্চকর। ইচ্ছেমতো মাছ ধরার সুযোগও মেলে এখানে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার।
3. অন্যদিকে সাংসে অঞ্চলের গোপন সম্পদ হলো ফিকালেগাঁও। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে থাকা এই গ্রামে রয়েছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র আপেল বাগান। এখান থেকে কানচনজঙ্ঘার স্পষ্ট দৃশ্য চোখে পড়ে। সঙ্গে কাছাকাছি তিস্তা, মনসুন কিংবা সিল্ক রুট এক দিনের ছোট ভ্রমণের জন্য একদম উপযুক্ত। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭৮ কিলোমিটার।
4. রিশিহাট দার্জিলিঙের একেবারে কাছেই, মাত্র ২২ কিলোমিটারের দূরত্বে। এখানে পৌঁছে মন ভরে যায় ফুলের রঙিন সমারোহ আর নাম না জানা পাখির সুরে। কোলাহল মুক্ত এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম শান্তি খোঁজার মানুষের জন্য একেবারে আদর্শ।
5. শেষে বলা যায় খারকাগাঁও– পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট গ্রাম যেখানে ভোরের আলোয় ঘুমন্ত বুদ্ধমূর্তির মতো পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায়। পরিবার নিয়ে কয়েকটা দিন একান্তে কাটানোর জন্য এই জায়গার জনপ্রিয়তা বাড়ছে আস্তে আস্তে।
তাই যাঁরা পুজোর সময় ভিড়-ভাট্টা থেকে দূরে নিভৃত কোনো কোণে সময় কাটাতে চান, তাঁদের কাছে এসব অফবিট গন্তব্য হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। উত্তরবঙ্গকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে হলে এবার ভিড়ভরা শহর নয়, বেছে নিন এই অজানা গ্রামগুলির কোনো একটিকে।