দেশের এক বিশাল অংশ এখনও পোস্ট অফিসের (Post Office) সঞ্চয় পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের জন্য ডেবিট কার্ড পরিষেবা কার্যত অচল ছিল। অনেক গ্রাহকের কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নতুন কার্ড পাওয়া যাচ্ছিল না। এর ফলে লেনদেনে যেমন অসুবিধা হচ্ছিল, তেমনি অসন্তোষও বাড়ছিল। তাই সব সমস্যার সমাধান করতে সম্প্রতি ডাক বিভাগ একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঘোষণা করা হয়েছে— নতুন ধাঁচের ব্যক্তিগতকৃত বা গ্রাহকের নামসহ ডেবিট কার্ড এবং একই সঙ্গে অকেজো হয়ে পড়া এটিএম মেশিনগুলিকে আবার সচল করা হবে।
কীভাবে মিলবে নতুন কার্ড
আগে সাধারণ ডেবিট কার্ড সরবরাহ করা হলেও তাতে গ্রাহকের কোনও ব্যক্তিগত তথ্য স্পষ্টভাবে থাকত না। এবার সেই চিত্র বদলাতে চলেছে। নতুন ডেবিট কার্ডে গ্রাহকের নাম মুদ্রিত থাকবে, এবং নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণের মাধ্যমে এর জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন গ্রহণের অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে কার্ড। এরপর আলাদা খামে পিন নম্বর পৌঁছে দেবে ডাক বিভাগ। গ্রাহক চাইলে যে কোনও ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের এটিএম থেকে টাকা তোলা, ব্যালেন্স চেকসহ অন্যান্য কাজ করতে পারবেন।
অতীতের সমস্যার অবসান
আগে অনেক সময় কার্ডের সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য ছিল না। গ্রাহকের কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিপাকে পড়েছিলেন অনেকেই। মনকি যেখানে কার্ডের চাহিদা বেশি ছিল, সেখানে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে যেখানে তেমন প্রয়োজন ছিল না, সেখানে অতিরিক্ত কার্ড থেকে গিয়েছিল অব্যবহৃত অবস্থায়। এর ফলে বহু মানুষ কার্ড চেয়েও পাননি। এবার নতুন ব্যবস্থায় সেই ভুলভ্রান্তি এড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অকেজো এটিএম ফের সচল হচ্ছে
পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন জায়গার শুধু কার্ডই নয়, পোস্টাল এটিএম দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই মেশিনগুলিকে ফের চালু করার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষের পথে। শীঘ্রই গ্রাহকরা আবার পোস্ট অফিসের এটিএম থেকে সরাসরি পরিষেবা নিতে পারবেন।
বড় স্বস্তি গ্রাহকদের
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় কম খরচে পোস্টাল ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। ফলে এই উদ্যোগ কার্যকর হলে কয়েক লক্ষ গ্রাহক বড় সুবিধা পাবেন। ডাক বিভাগের কর্তাদের দাবি, এবার আর কাউকে ডেবিট কার্ড বা এটিএম পরিষেবার জন্য অসুবিধায় পড়তে হবে না। সবকিছু হবে দ্রুত, সহজ ও নিরাপদে।