পাকিস্তানের (Pakistan) আর্থিক সঙ্কটের (Financial Crisis) কথা তো এখন সবাই জানেনই। বিগত কয়েক বছর ধরেই সবদিক দিয়ে ধুঁকছে আমাদের পাশের দেশটি। গত কয়েক মাসে দুরাবস্থা এমন চরমে পৌঁছে যায় যে, দুবেলা দু মুঠো খাবার জোগাতেও হিমশিম খাচ্ছিল আম-পাকিস্তানিরা। তবে, এবার পাকিস্তান থেকে যে খবর সামনে এল তা সত্যিই চমকে যাওয়ার মত।
শোনা যাচ্ছে ১০ টি বিরল প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে এমনি এক মিডিয়াই বলছে , পাশের দেশটির এক মৎস্যজীবি (Pakistani Fisherman) রাতারাতি কোটিপতি (Millionaire) হয়ে মিডিয়া লাইমলাইটে চলে এসেছে। করাচির এই বাসিন্দা প্রায় ১০ টি বিরল প্রজাতির মাছ ধরেছিলেন। আর এই ১০টি মাছই বদলে দিয়েছে তার ভাগ্য। সূত্রের খবর, করাচির (Karachi) এই মৎস্যজীবির নাম হাজি বালোচ। সম্প্রতি আরব সাগর থেকে ১০ টি বিরল প্রজাতির মাছ (Rare Species Of Fish) ধরেন তিনি।।
এই ১০ টি মাছের জন্য পেয়েছেন ৭ কোটি টাকা ! সূত্রের খবর, এই মাছগুলি মূলত গোল্ডেন ফিশ (Golden Fish) যা স্থানীয় ভাষায় ‘সোয়া’ নামে পরিচিত। নানাবিধ গুণাবলী সম্পন্ন এই মাছগুলির বাজারদর বেশ চড়া। পাকিস্তানি টাকায় এই ৭ টি মাছের দাম হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা (7 Crore Rupee)। হাজি বালোচ নামক ঐ ব্যবসায়ী এই মাছগুলি নিলামে বিক্রি করেছে করাচি হারবারে। তবে কী এমন আছে ! ঐ মাছে যার জন্য এত দাম?
এই মাছ গুলির মধ্যে কী গুণাবলি রয়েছে ? জানা যাচ্ছে, বিরল প্রজাতির এই মাছগুলিতে রয়েছে নানারকমের গুণাবলী। নানা ধরণের ঔষধি তৈরি হয় এই মাছ থেকে। পাশা-পাশি এই মাছগুলির পেট থেকে এক ধরণের সুতোর মত বস্ত পাওয়া যায় যা দিয়ে অস্ত্রপচারের সামগ্রী তৈরি করা হয়। এক একটি মাছের ওজন প্রায় ২০ থেকে ৪০ কেজি। লম্বায় প্রায় ১.৫ মিটার পর্যন্ত হয় মাছগুলি। এরকমই ১০ টি মাছ ধরা পড়েছে পাকিস্তানের ঐ মৎস্যজীবির জালে।
মৎস্যজীবি কী বলছেন ? এইদিন ঐ মৎস্যজীবি জানিয়েছেন, ‘করাচিতে আমরা সমুদ্রে মাছ ধরছিলাম…। তার পরেই আচমকা প্রচুর পরিমাণে গোল্ডেন ফিশ পেলাম। যা আমাদের ভাগ্য খুলে দিল।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রতিটি মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা করে। ১০টি মাছের জন্য তিনি পেয়েছেন ৭ কোটি টাকা।
এই টাকা নিয়ে কী করবেন তিনি? এমন অবস্থায় এই বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে তিনি কী করবেন জিজ্ঞেস করা হলে ঐ মৎস্যজীবি জানান, তার মোট সাতজন কর্মচারী রয়েছে। এই টাকার ভাগ তিনি ঐ সাত কর্মচারীকেও দেবেন বলে জানিয়েছেন। যেখানে গোটা দেশ আর্থিকভাবে ধুঁকছে সেখানে মৎস্যজীবীর এই সাফল্যের খবর তাক লাগিয়েছে।