ভারতের অর্থনৈতিক দুনিয়ায় আজ এল এক যুগান্তকারী ঘোষণা। বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন, কর ব্যবস্থার জটিলতা কাটিয়ে এবার থেকে সাধারণ মানুষকে মাথায় রাখতে হবে মাত্র দুটি হার—৫% এবং ১৮%। এতদিন পাঁচটি আলাদা স্ল্যাবের জটিল নিয়মে ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়েই বিরক্ত ছিলেন। এবার সেই জটিলতা থেকে মিলল মুক্তি।
তবে এর পাশাপাশি কড়া বার্তাও আছে। তামাকজাত দ্রব্য, গুটকা, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়ি কিংবা ১৩৫ সিসির ওপরে মোটরবাইকের মতো তথাকথিত জিনিসে কর ধরা হয়েছে ৪০%। অর্থাৎ ভোগ্য সামগ্রীর বাজারে যেমন স্বস্তি আসবে, তেমনি বিলাস আর ক্ষতিকর দ্রব্য হবে অনেক বেশি দামী।
সবচেয়ে বড় স্বস্তি এসেছে বিমা ও স্বাস্থ্য খাতে। লাইফ ইনস্যুরেন্স ও স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি শূন্য করা হয়েছে—যা প্রথম দাবি তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে সেই দাবি মেনে নিল কেন্দ্র। পাশাপাশি ৩৩টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিশেষত ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত দামি ওষুধও এখন ট্যাক্সমুক্ত।
তালিকায় রয়েছে আরও প্রায় ১৭৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, ফলে উৎসবের বাজারে সাধারণ মানুষ কম দামে পণ্য হাতে পাবেন। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু ভোক্তার খরচ হালকা করবে না, বিমা খাতেও নতুন করে গ্রাহকের আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের দিনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন—“নতুন প্রজন্মের জিএসটি” আসছে। আজকের সিদ্ধান্তে সেই প্রতিশ্রুতিই বাস্তবে রূপ পেল। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ দেশীয় অর্থনীতিকে সহজ করবে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে গৃহস্থ বাজেট—সবেতেই তৈরী হবে এক নতুন আশার পরিবেশ।
সব মিলিয়ে, উৎসবের আগে দেশের মানুষের জন্য এ যেন সত্যিকার অর্থে এক বড় উপহার।