দক্ষিণ মুম্বইয়ের (South Mumbai) ব্যস্ত রাস্তায় রবিবার দুপুরে ঘটে গেল এক ঘটনার, যা সাধারণ নাগরিক থেকে সেলিব্রিটিদেরও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। শহরের এক প্রান্তে চলছিল জোরালো আন্দোলন—কোটা সংক্রান্ত দাবিকে ঘিরে হাজারো মানুষ পথে নেমে স্লোগানে কাঁপিয়ে তুলছিল দক্ষিণ মুম্বই। এর মাঝেই বিপাকে পড়েন টেলিভিশন অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তী।।
শহরজুড়ে তখন বিক্ষোভের ঢেউ। তিনি তখন কোলাবা থেকে কাজ সেরে নিজের গাড়িতে করে ফোর্টের দিকে রওনা হয়েছেন। তার দাবি হঠাৎই চলমান বিক্ষোভের ভিড় তার ও সামনের একটি গাড়িকে আটকে ফেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর শুরু হয়ে গাড়ির কাচে হাতের আঘাত, বনেটে ধাক্কা, চিৎকার–চেঁচামেচি। সুমনার কথায়, ‘‘যে শহরে এতদিন নিজেকে নিরাপদ ভেবেছি, আজ হঠাৎই মনে হল সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত,’’ ।
কিন্তু ভয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় অন্য এক দৃশ্য। কাছাকাছি দাঁড়িয়েও পুলিশ সক্রিয় হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গোটা ঘটনাকে নাকি তারা নিতান্তই ‘রাস্তার ভিড়ের সাধারণ ধাক্কাধাক্কি’ ভেবে উপেক্ষা করেছে। সেই উপেক্ষাই তাকে মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে।
পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন—‘‘আন্দোলন গণতন্ত্রের অংশ, কিন্তু তাই বলে কি সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা উপেক্ষিত হতে পারে?’’ এ ঘটনায় তার সেই বিশ্বাস ভেঙে গেছে। পাশে তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু থাকায় মানসিকভাবে ভরসা পেয়েছিলেন তিনি—না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
প্রশ্ন এখন একটাই—আন্দোলনের অধিকার যেমন মৌলিক, তেমনই কি নয় সাধারণ নাগরিকের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছনোর অধিকার? যদি শহরের রাস্তায় প্রতিদিনকার মানুষই নিরাপদ না থাকে, তবে আন্দোলনের বার্তা যত জোরেই উঠুক না কেন, নাগরিক সুরক্ষাই শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় শব্দ হয়ে ওঠে।