দেশজুড়ে সোমবার থেকে ওষুধের (Medicine) দাম নিয়ে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এমনই বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় কর সংস্কারের নতুন নিয়ম। বহুদিন ধরে ওষুধের বাড়তি খরচে নাজেহাল সাধারণ মানুষ এবার কিছুটা স্বস্তি পেতে চলেছেন। তবে দাম কমলেও আপাতত স্ট্রিপে নতুন মূল্য দেখতে পাওয়া যাবে না, হিসাব মিলবে কেবল বিলেই। স্বাভাবিকভাবেই রোগী থেকে দোকানদার, সবার কৌতূহল—আসলে কতটা হালকা হবে পকেট?
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটি এবং শিল্পমহলের মতে, এবার প্রায় ৯৫ শতাংশ ওষুধেই জিএসটি কমানো হচ্ছে। ১২ শতাংশ থেকে নামছে ৫ শতাংশে। আবার কিছু ওষুধে ১৮ শতাংশ সরাসরি ৫ শতাংশে নেমে আসছে। এমনকি প্রায় ৫ শতাংশ ওষুধ একেবারেই করমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে, ক্রেতারা গড়ে ৪.৭৭ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ের সুবিধা পাবেন বলে দাবি। হিসাব বলছে, প্রতি হাজার টাকার ওষুধে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব।
এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মনোভাবেও। অনেকে ইতিমধ্যেই এই পরিবর্তন নিয়ে মত দিয়ে বলছেন একসঙ্গে বেশি ওষুধ কিনতে হলে কয়েকশো টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে। দীর্ঘদিনের বাড়তি খরচ থেকে অবশেষে কিছুটা রেহাই মিলবে| তবে আবার কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন—অপরিহার্য ওষুধে এতদিন এত বেশি করই বা কেন রাখা হয়েছিল? এসব ক্ষেত্রে মূলত শূন্য জিএসটি হওয়াই উচিত। এ নিয়ে ক্ষোভও স্পষ্ট।
তবে বাজারে নতুন মূল্যের প্রতিফলন হতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। সেই ফাঁকে ফার্মা কোম্পানি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের ওপরই দায়িত্ব থাকছে গ্রাহককে হিসাব বুঝিয়ে সঠিক দাম দেওয়ার। প্রস্তুতকারকরা চাইলে আপাতত নতুন দামের স্টিকার ব্যবহার করতে পারেন, যদিও স্ট্রিপে আলাদা স্টিকার জোড়া যাবে না। তাই পুরোনো প্যাকেটে নতুন দাম না থাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ারও আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে এখন দেখার বিষয় একটাই ওষুধের দামে এই সংস্কার কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকবে না, সত্যিই সাধারণ ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে পারে। ফলে আপাতত স্ট্রিপে দাম না পাল্টালেও বিলের অঙ্কই বলে দেবে—ওষুধের বাজারে কতটা বদল এসেছে।