উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই ফের রাজনৈতিক ঝড় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মিরিকের সুখিয়াপোখরিতে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তাঁর স্বর পাল্টালেন একেবারে রাজনীতির দিকেই। এলাকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে মঞ্চে মমতা এমন কিছু মন্তব্য করলেন, যা মুহূর্তেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
মমতার অভিযোগ, বিজেপির কিছু নেতা শুধুই প্রচারে ব্যস্ত, মানুষের পাশে সত্যিকারের সাহায্য নেই। তিনি বলেন, বারবার ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কিছু মানুষ তাকে ঘিরে রাজনীতি করছেন। আরও জানান, “মানুষকে হতাশ না করে পাশে দাঁড়ান। ব্যবসা করবেন, ভালো কথা, কিন্তু জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাও আছে।”তাঁর কটাক্ষ— বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোই আসল নেতৃত্বের প্রমাণ, বক্তৃতা দিয়ে নয়।
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী আরও সরব হন। “বিজেপি নেতারা একদিন গিয়েছেন, ছবি তুলেছেন, তারপর উধাও! মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে এভাবে রাজনীতি করলে চলবে না,” এমনি তির ছোঁড়েন তিনি। মমতার এই বক্তব্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক ইঙ্গিত— কেন্দ্রে বসে অভিযোগ নয়, জমিতে নেমে দায়িত্ব বোঝার সময় এসেছে।
সুখিয়াপোখরির সভা থেকে মমতা জানান, রাজ্য প্রশাসন এখন মানুষের পাশে আছে, থাকবে। তিনি নিজে একাধিক জায়গায় গিয়ে ত্রাণ বিলি করছেন, দেখছেন কাজের গতি ঠিক আছে কি না। কেন্দ্রীয় সাহায্য প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, “সেতু বানানো থেকে আরম্ভ করে উন্নয়নের অনেক কাজ আমরা করছি। কিন্তু কেন্দ্র শুধু রাজনীতি করছে।”
উত্তরবঙ্গ সফরের এই পর্বে মমতার বার্তা স্পষ্ট— মানুষের দুঃসময় রাজনীতি নয়। এই বিপর্যয়ে তিনি যে মানবিক মুখটি তুলে ধরতে চান, তাতে বিরোধীদের উপরেই চাপ বাড়ল বই কমল না। আর তাঁর এই চটলতা মেশানো কটাক্ষে প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কি সত্যিই শুধু ফটো তুলে পালিয়েছে?