মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে এবং ঘন অরণ্যে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে একাধিক হোম স্টে। আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক এলে পাহাড়ের মানুষের রোজগার কিছুটা বাড়বে। তাই, পরবর্তী সময়ে সরকারের সহায়তায় আরও একাধিক হোম স্টে চালুর কথাও শুনিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM Manata Banerjee)। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (Bengal Global Business Summit 2023) অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ধনধান্য অডিটোরিয়ামে।
গতকাল, বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হয়। আর এই সম্মেলনের শেষে ভাষণে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীদিনে আইটি হাব গড়ার কথা জানান। তবে সেটি হবে উত্তরবঙ্গে। গতকাল, বুধবার সপ্তম বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন থেকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নতুন দার্জিলিং গড়ে তোলার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার পর্যটন শিল্পের প্রসারে বাংলার অন্যতম বিখ্যাত ডেস্টিনেশন দার্জিলিংয়ের মতোই আরও একটি হিল স্টেশন তৈরির পরিকল্পনার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
একদিকে , আইটি হাবের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ জুড়ে রয়েছে একাধিক পর্যটনকেন্দ্র। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে শুরু করে সেখানে আছে গভীর অরণ্য। বিপুল পরিমাণ এই প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় রাজ্য সরকার। এই দু’দিনের শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী–সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলাদের বক্তব্যে পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণের কথা উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাই হচ্ছে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ। এখানে পর্যটন শিল্পে অন্যতম সম্ভাবনার ক্ষেত্র। রাজ্যে পর্যটনের উন্নতি ঘটাতে এবার নিউ দার্জিলিং তৈরি করতে হবে। কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিককে নিয়ে তৈরি হতে পারে নতুন দার্জিলিং।
অন্যদিকে , দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। বহুবার দার্জিলিংয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিককেও পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুললে পাহাড়ে পর্যটন ব্যবসা অনেকটা বাড়বে বলে আশা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে সম্মেলন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা নতুন দার্জিলিং তৈরি করতেই হবে। আমি আইটি ইন্ডাস্ট্রিকে বলব দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকে ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করুন।’ টাইগার হিল বা সান্দাক ফু’কেও পর্যটন মানচিত্রে জোর দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ধনধান্য অডিটোরিয়ামে।
এছাড়া ঘন অরণ্যে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে একাধিক হোম স্টে। আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক এলে পাহাড়ের মানুষের রোজগার বাড়বে। তাই পরবর্তী সময়ে সরকারি সহায়তায় আরও একাধিক হোম স্টে চালুর কথাও শুনিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘এখানে আপনারা হাজারটা হোটেল খুললেও রোজ বুকিং পাবেন। আমি আশ্বস্ত করছি যে আমাদের এখানে গভীর সমুদ্র, গভীর জঙ্গল আছে। এমনকী রয়েছে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলও। ক্রেতা আপনি এখানেও পাবেন এবং বাংলা উত্তর–পূর্বের গেটওয়ে, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের সীমানা। তার মতো ভালো পর্যটনস্থল আর নেই।’