দিনদুপুরে এক নাবালিকাকে অপহরণের চেষ্টায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহে (Malda)। হরিশ্চন্দ্রপুরের কোতল গ্রামের বুধবারের এই ঘটনা যেন সিনেমার দৃশ্যকেও হার মানায়। যদিও পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল সেই প্রচেষ্টা।
ঘটনা বুধবার দুপুরের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কোতল গ্রামে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল তিন বছরের এক নাবালিকা। সেদিন দুপুরে ভাই-বোনেদের সঙ্গে আইসক্রিম কিনতে বেরিয়েছিল সে। ঠিক তখনই দুই যুবক মোটরবাইকে এসে পৌঁছায়। চোখের পলকে ফিল্মি কায়দায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয় তারা। মুহূর্তেই এলাকা জুড়ে হইচই পড়ে যায়। স্থানীয়রা চিৎকার শুরু করলে খবর যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ নামেন তল্লাশিতে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় গ্রামের বাইরের পথ। এমনকি সংলগ্ন চাঁচল থানাকেও সতর্ক করা হয়। বিহার সীমান্ত পর্যন্ত নাকা চেক শুরু হয়। ঠিক তখনই গোটা নাটক ঘুরে যায় নতুন মোড়ে—পুলিশ দেখতে পায় সেই সন্দেহভাজন বাইক।
পুলিশকে সামনে দেখে আতঙ্কে অভিযুক্তরা বাইক থেকে শিশুটিকে রাস্তায় ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রক্ষা মেলেনি। স্থানীয় ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মুহূর্তের মধ্যে এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের নাম ছোটন নাগ, সে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অপর এক সঙ্গী এখনও পলাতক।
অপরদিকে, চলন্ত বাইক থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় ওই নাবালিকার মাথা ও শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় চোট লাগে। বর্তমানে তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে, তবে কেন এমন কাণ্ড ঘটানো হল, তার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে এইভাবে অপহরণের চেষ্টায় এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য, আর পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে বেঁচে গেল ছোট্ট প্রাণ।

