কলকাতার (Kolkata) যাতায়াত ব্যবস্থায় বড় বদলের ইঙ্গিত মিলছে আবারও। সম্প্রতি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সাফল্যে শহরবাসীর স্বস্তি যেমন বেড়েছে, তেমনি এবার নতুন করে আশার আলো জাগছে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দাদের মনে। বহুদিনের অপেক্ষা যে এবার শেষ হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে মেট্রো সূত্রে।
সম্প্রতি কলকাতায় তিনটি নতুন মেট্রো লাইন উদ্বোধন হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে। এই তিনটি রুট চালু হওয়ার ফলে ইতিমধ্যেই শহরের পরিবহণ মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এবার জোকা-ধর্মতলা করিডর চালু হলে দক্ষিণ কলকাতার মানুষের জন্য তা বড় স্বস্তির বার্তা বহন করবে।
রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, জোকা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পকে এখন বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক স্তরের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। বিশেষ করে খিদিরপুর থেকে ধর্মতলার মধ্যবর্তী অংশে ভূগর্ভস্থ টানেল নির্মাণ শুরু হওয়ায় কর্তৃপক্ষের আশা, প্রকল্পের অগ্রগতিতে নতুন গতি আসবে।
উল্লেখ্য, এই কাজের পাশাপাশি আগেভাগেই ট্রেন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি দশটি আট-কোচের ট্রেনের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, পুরো প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। চূড়ান্ত আলোচনার পরই ঠিক হবে কোন সংস্থা এই অত্যাধুনিক রেক গড়ার দায়িত্ব নেবে। সূত্রের দাবি, প্রয়োজনে এই রেক অন্য লাইনেও, যেমন গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর মেট্রো রুটে, ব্যবহার করা যেতে পারে।
রেল আধিকারিকদের মতে, দক্ষিণ কলকাতা থেকে সরাসরি শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় মেট্রো যোগাযোগ চালু হলে বহু যাত্রীর সময় ও শ্রম বাঁচবে। দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ কলকাতার মানুষ এই পরিষেবার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। সেই অপেক্ষার দিন যে খুব শিগগিরই শেষ হতে পারে, তা নিয়ে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
রেলের লক্ষ্য, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লাইন তৈরি শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব যাত্রী পরিষেবা চালু করা। এই প্রস্তুতি এবং তৎপরতা দেখে অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শহরের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে কেন্দ্রস্থলে মেট্রোর চাকা আর বেশি দিন আটকে থাকবে না।