কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সচেতন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সম্প্রতি শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়ায় পুরসভা নড়েচড়ে বসেছে। শুক্রবার নিয়মিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মেয়র জানান, বর্ষা শেষে ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি মাথাচাড়া দেয়। তাই এখন থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামী দু’মাস পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিতে পারে।
মেয়রের বক্তব্য, শহরের প্রতিটি মানুষকেই সতর্ক হতে হবে। কোনও অবস্থাতেই বাড়ির ছাদ, বারান্দা বা খোলা জায়গায় জল জমতে দেওয়া যাবে না। কারণ জমে থাকা জলেই এডিস মশার প্রজনন ঘটে। এবারে পুজোর মরসুম চলে আসছে, সেই সময়েও যাতে অবহেলা না হয়, তার জন্যই বিশেষ করে বিভিন্ন পুজো কমিটিকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি ক্লাব ও কমিটিকে মশা-বাহিত রোগ ঠেকাতে নিজেদের আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে বলেও এদিন মনে করিয়ে দেন মেয়র।
পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদেরও নির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করতে হবে, কোথাও জলের চিহ্ন পাওয়া গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠকও করতে হবে। মেয়র সরাসরি বলেন, “আগামী দু’মাস সকলকেই বাড়তি সতর্কতায় থাকতে হবে। নিয়মিত নজরদারি ছাড়া পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হতে পারে।”
একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন, শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, নাগরিকদের সহযোগিতাই এই লড়াইয়ে মুখ্য। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকেও। আগামী মাস থেকেই পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হবে। মণ্ডপের চারপাশে জল জমতে না দেওয়ার বিষয়ে আয়োজকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। কারণ কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যদি প্যান্ডেল সংলগ্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়, তবে সেখান থেকেই ডেঙ্গির ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ, বাকি মরসুমে সামান্য অসতর্কতাই পরিস্থিতিকে জটিল করতে পারে।
শহরবাসীকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি মেয়র জানিয়েছেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় অনেকটাই নির্ভর করছে সম্মিলিত প্রয়াসের উপর। তিনি আরও বলেন পুরসভা ধারাবাহিকভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সচেতনতা কর্মসূচি চালাবে। তাই শহরের প্রতিটি নাগরিকের সতর্কতা আজ জরুরি।