আবার গোটা বিশ্বকে চমকে দিল ভারত (India)। হ্যাঁ ভারত এমনই এক কাজ করে দেখিয়েছে যা হয়তো কেউ ভাবতে পারেনি আগে। আপনিও যদি ভারতের এই কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে আপনারও গর্ভ বোধ হবে। ভারতের এই কাজে উপকৃত হবেন দেশের কয়েক কোটি মানুষ। একদম চুপিসারে চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। আগে , এর দাম ছিল কয়েক কোটি টাকা। কিন্তু, এখন মাত্র কয়েক লক্ষ টাকায় পাওয়া যাবে এই ওষুধগুলি। এ ছাড়াও সিকেল সেল রোগের সিরাপও তৈরি করা হচ্ছে। এক বছর আগে ভারত ১৩ ধরনের বিরল রোগের ওষুধ তৈরির কাজ শুরু করে, তার মধ্যে চারটি রোগের ওষুধ (Medicine) তৈরিতে সফল হয়েছে।
ভারতের এই সাফল্যের ফলে কয়েক কোটি টাকার ওষুধ এখন মাত্র কয়েক লক্ষ টাকায় দেশে পাওয়া যাবে। ভারতে প্রায় ৮.৪ কোটি থেকে ১০ কোটি বিরল রোগের রোগী রয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ বিরল রোগ জিনগত, শৈশব থেকে শিশুদের প্রভাবিত করে। ভারত এক বছরে চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করতে সফল হয়েছে। এই ওষুধগুলি জন ঔষধি কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে কেন্দ্রের বলে খবর।
ভারত যে চারটি বিরল রোগের জন্য ওষুধ তৈরি করেছে : টাইরোসিনেমিয়া টাইপ ১। এই চিকিৎসার জন্য বার্ষিক ব্যয় ছিল প্রায় ৩.৫ কোটি টাকা, এখন তা প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকায় নেমে এসেছে। এই রোগ শিশুদের বেশি হয়। এই রোগের যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা নয় তাহলে আক্রান্ত শিশু ১০ বছরের মধ্যে মারা যেতে পারে। এবার আসা যাক গাউচারের কোথায়। এটি মূলত লিভারের একটি রোগ। এই গাউচারের রোগের চিকিৎসার জন্য আগে ২১.৮ থেকে ৩.৬ কোটি টাকা খরচ হত, কিন্তু এখন এই খরচ নেমে এসেছে ৩.৬ লক্ষ টাকায়।
অন্যদিকে উইলসনের জন্য আগে বছরে ১.৮ থেকে ৩.৬ কোটি টাকা খরচ হতো, এখন তা নেমে এসেছে ৩.৫ লক্ষ টাকায়। এছাড়া ড্রাভেট বা লেনক্সের চিকিৎসায় বছরে ৭ থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ হত, কিন্তু এখন এর চিকিৎসার খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা।যে চারটি রোগের জন্য যে ওষুধগুলি তৈরি করা হয়েছে সেগুলি হ’ল, নিটিসিনোন, এলিগ্লুসাট, ট্রায়েনটাইন, ক্যানাবিডিওল। এতে ভারত সহ সারা বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবেন।