শারদোৎসবের আগে হাওড়া পুরসভায় কর্মীদের (Municipal employees) মুখে হাসি ফোটাতে এল একাধিক সুখবর। সোমবার পুরভবনে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে কর্মীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে প্রশাসন। শহরের রাস্তাঘাট ও নর্দমা পরিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত শ্রমজীবী মানুষদের জন্য নেওয়া হল বেশ কিছু পদক্ষেপ, যা শুধু তাঁদের কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি কমাবে না, পাশাপাশি আর্থিক দিক থেকেও এনে দেবে স্বস্তি।
সুরক্ষার হাতিয়ার এবার কর্মীদের হাতে
অনুষ্ঠানে প্রথমেই ২১৫ জন নর্দমা সাফাই কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ সুরক্ষা কিট। দীর্ঘদিন ধরে নর্দমার ভিতরে নেমে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ও অসুস্থতার শঙ্কা নিয়ে আলোচনায় ছিল নানা মহল। এবার সেই ঝুঁকি অনেকটাই রুখতে কিটে দেওয়া হয়েছে সেফটি-চশমা, হেলমেট, বিশেষ জুতো, গ্লাভস, কর্মপোশাক ও রাসায়নিক থেকে রক্ষা করতে সক্ষম মাস্ক। প্রশাসনের দাবি, এর ফলে কাজে নামা কর্মীরা আরও সুরক্ষিত ভাবে কাজ করতে পারবেন।
বকেয়া মেটানো ও বেতন বৃদ্ধি
সুরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি এদিন আরও আর্থিক ঘোষণা করেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। জানানো হয়, প্রায় ১১০০ জন সাফাই কর্মীর চার থেকে ছয় মাস ধরে আটকে থাকা মাইনে পুজোর আগেই মিটিয়ে দেওয়া হবে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, হাওড়া পুরসভার প্রায় ১৫০০ অস্থায়ী কর্মীর বেতনে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত যোগ হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
কর্মীদের প্রত্যাশা
পুরসভার এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি কর্মীদের। পুজোর আগে প্রাপ্য টাকা হাতে পাওয়া এবং আয়ের বৃদ্ধি উৎসবের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেবে। একই সঙ্গে সুরক্ষা কিট কাজে নেমে তাঁদের মনে জোগাবে আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা।
পুরসভার বার্তা
চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, “কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আর্থিক স্বার্থ নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। সুরক্ষা কিট এবং বেতন বৃদ্ধি সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ। এই পদক্ষেপ শুধু তাৎক্ষণিক নয়, দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টার অংশ।”
অতএব, উৎসবের এই দিনে হাওড়াবাসীর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন, তাঁদের জন্য পুরসভার এই উপহার নিঃসন্দেহে বড় স্বীকৃতি।