নতুন পালক ‘টুইন সিটি’ হাওড়ার (Howrah Metro Station) পালকে। দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন তৈরি হবে হাওড়া। শুরু থেকেই এই মেট্রো স্টেশন নিয়ে তুঙ্গে ছিল জল্পনা। সবার মধ্যেই এই ষ্টেশনকে ঘিরে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে। হাওড়া মেট্রো স্টেশনের কাজও চলছে জোর কদমে। দ্রুত সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দেশের গভীরতম এই মেট্রো স্টেশনকে। গভীরতম এই স্টেশনে নামতে হলে যাত্রীদের ২০০ টি সিঁড়ি পার হতে হবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাওড়া মেট্রো স্টেশনে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের ২০০ সিঁড়ি পার করতেই হবে। তবে সাধারণ সিঁড়ির পাশাপাশি চলমান সিঁড়ির ব্যবস্থাও রয়েছে। অনেকেই রয়েছেন যারা ভয় পান চলমান সিঁড়িতে। তাদের কিন্তু হাওড়া মেট্রো স্টেশনে বেশ খানিকটা ঝামেলায় পড়তে হবে।
চলমান সিঁড়ি না ব্যবহার করলে পায়ে হেঁটে ২০০ সিঁড়ি পার করতে হবে। তবে জানা যাচ্ছে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা শুরু হতে পারে আগামী মাসেই। হাওড়া রেল স্টেশনের লাগোয়া এই মেট্রো স্টেশনের কাজ কিন্তু জোরকদমে চলছে। কর্মচারীরা সম্পূর্ণভাবে চেষ্টা করছেন দ্রুত এই স্টেশনের কাজ শেষ করার।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের হাওড়া মেট্রো স্টেশন খুব শীঘ্রই শুরু করবে এই পরিষেবা। কলকাতাবাসীর সুবিধা বাড়বে আরোও অনেকটাই। রেলওয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই হাওড়া মেট্রো স্টেশন পেয়ে গেছে ‘দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে স্টেশন’-র তকমা। দিল্লি মেট্রোর হাউস খাস এতদিন পর্যন্ত এই তকমার অধিকারী ছিল। এর গভীরতা ছিল ৩০ মিটার।
এবার দিল্লিকে টেক্কা দিল হাওড়ার মেট্রো। এই স্টেশন প্রায় ৩২.০০৪ মিটার (১০৫ ফুট) গভীর। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, ‘আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরই যাত্রীরা হাওড়া স্টেশন থেকে মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন। এই মেট্রো চালু হলে লক্ষাধিক যাত্রীর সুবিধা হবে। এই মেট্রো পরিষেবা চালু হবে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনেই।” এবার দেখার কবে অপেক্ষার অবসান!