রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট (Residential Certificate) একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই বাসিন্দা সংশাপত্র (Residential Certificate) একজন ব্যক্তির বাসস্থানের সঠিক ঠিকানা নির্দেশ করে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেটের দরকার হয়। শুধু তাই নয়, সরকারের বিভিন্ন কাজে অনলাইন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের (Residential Certificate) চাহিদাও আজকাল তুঙ্গে।
রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে গিয়ে অনেকেই চরম সমস্যায় পড়েন। আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল কারা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য। কারা আবেদন করতে পারবেন এবং কিভাবে সহজেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন সেই সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন। এবং আবেদন করার সময় কী কী ডকুমেন্টের প্রয়োজন।
কীভাবে করবেন Residential Certificate-র আবেদন ?
রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তির বাসস্থানের ঠিকানা উল্লেখিত হয়। কোন ব্যক্তি কোন স্থানে কতদিন থেকে বাস করছে তা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বোঝা যায়। কোন ব্যক্তি কোন রাজ্যের কোন অঞ্চলের বাসিন্দা তা সহজেই বাসিন্দা সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বোঝে যায়। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যে কোন ব্যক্তি এই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Residential Certificate-র অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া :
বাড়িতে বসে অনলাইনে মোবাইলের সাহায্যে খুব সহজেই রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
(১) অনলাইনে বাসিন্দা সার্টিফিকেটের আবেদন করার জন্য প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ই-ডিস্ট্রক অফিসিয়াল পোর্টালের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এই পোর্টালে ঢুকতে ক্লিক করুন https://edistrict.wb.gov.in/PACE/login.do এই লিঙ্কে।
(২) এরপর প্রথমে নাম, মোবাইল নাম্বার সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকালে একটি ইউজার আইডি তৈরি করতে হবে।
(৩) এরপর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে ইউজার আইডি বা ইমেল আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করার সময় একটি ক্যাপচা কোড নিচের ঘরে হুবহু লিখতে হবে এবং সাইন ইন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
(৪) এরপর আপনার রেজিস্টার করা মোবাইল নাম্বার একটি ওটিপি পাঠানো হবে সেই ওটিপিটি পরবর্তী পেজে সঠিক জায়গায় পূরণ করে সাবমিট অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
(৫) এবার আপনার সামনে সম্পূর্ণ আবেদন পত্রটি খুলে যাবে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য সহ সম্পূর্ণ আবেদন পত্রটি ফিলাপ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পিডিএফ ফাইল আকারে আপলোড করতে হবে। এরপর সবকিছু ঠিকঠাক দেখে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে।
(৬) এবার আপনি একটি নম্বর পাবেন সেই নম্বর দিয়ে আপনার রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করতে পারবেন। মনে রাখবেন আবেদন করার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে বিডিও ভেরিফিকেশনের জন্য।
আরও পড়ুন : কন্যাসন্তান হলেই ২৫০০০ টাকা দেবে সরকার! মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশির সাগরে হবু মায়েরা
কী কী নথি প্রয়োজন ?
(১) বাসস্থানের প্রমান হিসেবে আপনি পঞ্চায়তের রেসিডেন্স সার্টিফিকেট (Residential Certificate) ব্যবহার করতে পারেন।
(২) পরিচয় প্রমাণপত্র যেমন:- আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড ইত্যাদি।
(৩) আপনার নিজস্ব পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ফটোগ্রাফ।
(৪) জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র যেমন:- মাধ্যমিকের মার্কশিট বা জন্ম সার্টিফিকেট।