সোমবার থেকে কার্যকর হল নতুন জেনারেশন জিএসটি। কর কাঠামোয় পরিবর্তনের ফলে বাজারে বেশ কিছু পণ্যের দামে রদবদলের ইঙ্গিত মিলেছে। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে যখন চাহিদা বাড়ছে, তখন গ্রাহকরাও তাকিয়ে আছেন নতুন এই জিএসটি সংস্কার কী প্রভাব ফেলবে দৈনন্দিন জীবনে।
প্রথম দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে, বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে উল্লেখযোগ্য হারে পরিবর্তন এসেছে। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে ভুজিয়া, নিমকি, সাবান, টুথপেস্ট কিংবা মাথার তেল—যেসব পণ্যে আগে ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য ছিল, তা নেমে এসেছে মাত্র ৫ শতাংশে। ফলে পুজোর আগে অনেকটাই স্বস্তি মিলতে চলেছে সাধারণ পরিবারে। শুধু তাই নয়, শিশুদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন ফিডিং বোতল কিংবা ডায়াপারের দামও কমার কথা নিশ্চিত হয়েছে।
তবে সব কিছুর মাঝেই জনসাধারণের কৌতূহল এক জায়গাতেই—রান্নার গ্যাসের দাম কি আদৌ কমবে? কারণ প্রতি মাসেই সিলিন্ডারের দাম ওঠানামা হলে সরাসরি টান পড়ে মধ্যবিত্ত থেকে নিন্নবিত্ত সংসারের খরচে। কর সংস্কারের প্রভাব এ বার পৌঁছলো সেই জায়গাতেও, তবে প্রত্যাশিত রকম নয়। গৃহস্থালির জন্য ব্যবহৃত ভর্তুকিযুক্ত কিংবা ভর্তুকিবিহীন এলপিজি সিলিন্ডারে আগে থেকেই ৫ শতাংশ জিএসটি ছিল। নতুন কাঠামোয় তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ফলে রান্নার গ্যাসের দাম যতটা রয়েছে, ততটাই থাকবে।
অন্যদিকে রেস্তোরাঁ বা দোকানে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও চিত্র একেবারে একই। আগে যেমন ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য ছিল, সেটিই বহাল থাকল। অর্থাৎ কর সংস্কারের জেরে গ্যাস সিলিন্ডারের দামে কোনও স্বস্তি বা চাপ নেই।
অতএব, নতুন জিএসটির বড় সুবিধা মিলছে বিস্তৃত বাজারে—খাবারদাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালি জিনিসের দামে। কিন্তু রান্নার গ্যাসে আপাতত কোনও রদবদল না হওয়ায় এই দিক থেকে চিন্তা থেকেই গেল সাধারণ পরিবারের জন্য।