বিশ্বাসের বাঁধনই যে কখনও কখনও সবচেয়ে মারাত্মক ফাঁদে পরিণত হয়— সম্প্রতি একথারই প্রমান পেল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক ফারহান আখতার (Farhan Akhtar)। পরিবারের বিশ্বস্ত মানুষই চুপিসারে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হতবাক মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র মহল।
বহু বছর ধরে ফারহানের মা হানি ইরানির গাড়ি চালাতেন নরেশ সিং। পরিবারের কাছে তাঁর উপর ভরসা ছিল অটুট। গাড়ির তেল ভরার জন্য হানি ইরানি তাঁকে দিয়েছিলেন নিজের এক ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই দীর্ঘ তিন বছর ধরে তিনি গড়ে তোলেন জালিয়াতির ফাঁদ। আসল তেলের বদলে দিতে থাকে ভুয়ো বিল, আর তাতে ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
হানি ইরানির ম্যানেজার দিয়া ভাটিয়া বিষয়টি প্রথম টের পান। দেখা যায়, যেখানে গাড়ির সর্বাধিক ৩৫ লিটার তেলের প্রয়োজন, সেখানে জমা পড়েছে ৬২১ লিটারের বিল! স্পষ্ট বোঝা যায়, কেউ একজন নিয়মিত প্রতারণা করছে। প্রশ্নের মুখে ধরা পড়েন ড্রাইভার নরেশ। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন তিনটি আলাদা ক্রেডিট কার্ড থেকে বছর তিনেক ধরে টাকা তুলতেন তিনি।
তদন্তে জানা যায়, এই কাজে তাঁকে সাহায্য করত বান্দ্রার একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মী অরুণ সিং। দুজন মিলে ভুয়ো বিল তৈরি করে টাকাগুলি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিত। এমনকি যে গাড়িটি বহু আগে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, সেটির নামেও পেট্রোল কেনার রেকর্ড বানানো হয়েছিল।
অবশেষে দিয়া ভাটিয়া পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দ্রুত পদক্ষেপে নরেশ ও অরুণ—দুজনকেই পুলিশ আটক করে। ‘বিশ্বাসঘাতকতার দাম’ যে এত চড়া হয়, ফারহান আখতারের পরিবারের এই অভিজ্ঞতাই তার স্পষ্ট প্রমাণ।