শীতকাল মানেই ভ্রমণ পিপাসুদের দারুন সুখবর। এই শীতের মরসুমে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা হয়। এই সময় কোথাও ঘুরতে গেলে আনন্দ এক প্রকার দ্বিগুণ হয়ে যায় প্রতেকের। শীতের মরশুমে কিছু কিছু পর্যটনগুলি একপ্রকার লোকের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। শীত ,গ্রীষ্ম, বা বর্ষা যে কোনও মরসুমে মানুষ পাহাড় ঘুরতে যেতে খুব ভালোবাসেন।
আর পাহাড়ে কথা মাথায় এলেই উত্তরাখন্ড, দেহরাদুন, শিমলা, মানালির কথা অনেকে মনে করেন। কিন্তু যারা বাঙালি তাদের কাছে পাহাড় মানে হল হয় দার্জিলিং (Darjeeling) কিংবা সিকিম (Sikkim)। সারা বছরই পাহাড়প্রেমীরা কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে ও শান্তিতে কাটাতে দার্জিলিং নয়তো সিকিমকেই বেছে নেন প্রতেকেই।
আপনিও কি সাম্প্রতিক সময় দার্জিলিং যাওয়ার কথা ভাবছেন ? তাহলে আপনার জন্য রইল একটি বিশেষ জরুরী খবর । এবার , দার্জিলিং গেলেই গুনতে হবে কিছুটা বেশি টাকা। হ্যাঁ, একথা একদম ঠিক । আর এই টাকা আদায় করবে দার্জিলিং প্রশাসন। ইতিমধ্যেই , প্রশাসনের তরফে নেওয়া একটি সিদ্ধান্তের কারণে অনেকেরই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসছে।
আসলে দার্জিলিং পৌরসভা পাহাড়ি শহরে দর্শনার্থীদের উপর “পর্যটন কর” আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই পদক্ষেপকে নিয়ে স্থানীয় হোটেল মালিকরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই বিষয়ে দার্জিলিং পৌরসভার তরফে সোমবার একটি বিশেষ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতি দর্শনার্থী (পাঁচ বছরের বেশি বয়সী) প্রতিদিন ২০ টাকা সংগ্রহ করা হবে। দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র ঠাকুরি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতড়ি কর আদায় শুরু হবে। পুরপ্রধান দীপেন ঠাকুরি বলেন, ‘‘মূলত জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্যই এই কর নেওয়া হবে।’’
যদিও পুরসভার এহেন আচমকা সিদ্ধান্তে হোটেল মালিকরা অসন্তুষ্ট। এক হোটেল মালিক বলছেন, “আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পৌরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আমাদের খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে।” এই নিয়ে চতুর্থবার দার্জিলিং পুরসভা ট্যুরিস্ট ট্যাক্স আরোপ করল, কিন্তু প্রতিবারই পর্যটক সংগ্রহ শুরু হওয়ার কয়েক মাস পরেই এই পদক্ষেপ বাতিল হয়ে যায়।
২০০৮ সালে প্রথমবার, ২০১১ সালে মাথাপিছু দৈনিক ৩ টাকা এবং ২০১২ সালে মাথাপিছু ১০ টাকা করে কর দেওয়া হয়েছিল। অনেক হোটেল মালিক বলেছেন যে অতীতে কালেক্টররা এসেছিলেন এবং তাদের নিজস্ব সময়ে হোটেলের রেজিস্টার দেখার “দাবি” করেছিলেন। অনেকেই জানাচ্ছেন, “কালেক্টররা আমাদের ট্যাক্স সংগ্রহ করে তাদের হাতে তুলে দিতে বলেছিলেন। কর আদায় করা আমাদের কাজ নয়। পর্যটকরাও টাকা দিতে রাজি নন।” বেশিরভাগ হোটেল মালিকরা চান যে পৌরসভা দার্জিলিংয়ের প্রবেশ পথে কর আদায় করুক। গুলমার্গ এবং নৈনিতালের মতো পর্যটন গন্তব্যগুলিতে এই কর আদায় করা হয়।