পুজোর আগেই রাজ্যবাসীর জন্য বিদ্যুতের বিলে (Electricity Bill) নিয়ে পাওয়া যাচ্ছে দারুন সুখবর। বিদ্যুতিক মিটার সরিয়ে এবার ঘরে ঘরে স্মার্ট মিটার বসতে চলেছে। যার দারুন, বিদ্যুতের বিল নিয়ে কোনোরকম ঝামেলা থাকবেনা গ্রাহকদের। এমনকি, প্রতি মাসের বিলে ইউনিট খুব কম হবে। যার ফলে টাকার পরিমান অনেকটা কমে যাবে। সাথে হাতে বানানো বিলের যে ভুল ত্রুটি থেকে যায় সেটা আর থাকবেনা। কোনোরূপ অভিযোগ করতে হবেনা।
এই প্রতিবেদনে ভালো করে জেনে নিন, এই নতুন স্মার্ট মিটারের দারুন গ্রাহকদের কি কি সুবিধা বা অসুবিধা হবে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ এই স্মার্ট মিটারের উপর কাজ চলছিল। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই এই স্মার্ট মিটার পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে। এই স্মার্ট মিটারের কারণে বদলে যাবে ইউনিট প্রতি চার্জ ও। যার প্রতিবাদে বৈঁচি বিদ্যুৎ দপ্তরে স্মারকলিপি জমা করা হয়েছে।
তবে আন্দোলনকারীদের মতে এই মিটার চালু হলে গ্রাহকদের অধিকাংশ সমস্যার মুখে পড়তে হবে। যেমন – তাদের মতে বর্তমানে এই মাসে কত বিল হয়েছে সেটা জানার পর পরের মাসে সেই টাকাটা জমা করা হয়। তবে স্মার্ট মিটার চালু হলে তার প্রিপেড সিস্টেমে টাকা জমা করতে হবে। আগে থেকে জমা করা টাকার ভিত্তিতে আপনি বিদ্যুৎ খরচ করতে পারবেন। তবে সেটা কবে ও কিভাবে শেষ হবে তা জানা সম্ভব হবেনা। কারণ গ্রাহক মিটার রিডিং দেখতে পাবেননা।
তবে, আন্দোলনকারীদের এরূপ মতামতকে মাথায় রেখে বিদ্যুৎ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে যে, স্মার্ট মিটার বসানো হলে আর কোনো গ্রাহককে তিন মাস অন্তর বিল জমা করতে হবেনা। মোবাইল রিচার্জের মত যেকোনো সময় প্রিপেড মাধ্যমে টাকা ভরে নিতে পারবেন। টাকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা নির্বিঘ্নে পাবেন। আর রিচার্জ শেষ হওয়ার পূর্বেই নির্দিষ্ট নম্বরে SMS এর মাধ্যমে সতর্কীকরণ পাঠানো হবে।
তবে এই স্মার্ট মিটার বসলে অনেক বিদ্যুৎ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। বিদ্যুৎ বিলের নতুন ইউনিট চার্জের বোঝা বাড়বে সাধারণ মানুষের উপরেই। আন্দোলনকারীরা পাল্টা অভিযোগ এনেছেন যে, আগে ফিক্সড চার্জ প্রতি KVA ছিল ১৫ টাকা, এখন সেটা বেড়ে ৩০ টাকা হবে। পাশাপাশি এতদিন নূন্যতম চার্জ (Electricity Bill) ছিল ২৮ টাকা।
সেটা বেড়ে ৭৫ টাকা হবে। তবে এমনটাও জানা গেছে এই মিটার প্রথমে যেখানে ৫ কিলোওয়াট এর বেশি বিদ্যুৎ লোড হয় অর্থাৎ বিভিন্ন সরকারি অফিস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রাহক ও কমার্শিয়াল গ্রাহকদের চিহ্নিত করে এই স্মার্ট মিটারটিকে বসানো হবে। এই খানে সফল হলে ৫ কিলোওয়াট এর কম বিদ্যুৎ লোড হয় অর্থাৎ গৃহস্থ বাড়িতে এই মিটার বসানোর পদক্ষেপ নেবে বিদ্যুৎ বিভাগ।