সপ্তমীর সকাল হতেই দক্ষিণবঙ্গজুড়ে মেঘলা আকাশ, প্যান্ডেলে জমতে শুরু করেছে জলকাদার ভ্রুকুটি। দুর্গাপুজোর আনন্দ উপভোগে পথে নামা মানুষের মনে তাই একটাই প্রশ্ন—কবে থামবে এ বৃষ্টি? কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাস সেই আশায় বর্ষণ ঠান্ডা জল ঢালছে।
দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার সপ্তমীর দিন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুত-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষত দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি নামার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে দমকা হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় অন্তত ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে। ফলে সন্ধ্যার সময় প্যান্ডেল হপিং বা মণ্ডপ ঘোরার পরিকল্পনায় ভিজে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গেও ভেজা উৎসব
এদিকে উত্তরবঙ্গও বাদ যাচ্ছে না। দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুত-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া, যা স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
অষ্টমীর দিন বৃষ্টি বাড়বে
যারা ভেবেছিলেন সপ্তমী পার হলেই মেঘ সরে যাবে, তাঁদের জন্য খবরটা ভালো নয়। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার অষ্টমীর দিন দক্ষিণবঙ্গে আরও ব্যাপকভাবে বৃষ্টি নামবে। উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান—সব জায়গাতেই জোর বৃষ্টির আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি অব্যাহত থেকে ২ অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে।
উত্তরবঙ্গের বিপদও সামনে
অষ্টমীর দিন মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংতেও প্রভাব ফেলতে চলেছে প্রবল বর্ষণ। ফলে উত্তরবঙ্গেও পুজোর উৎসব ভেজা আবহাওয়ার মধ্যেই কাটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি
সবশেষে আবহবিদরা সতর্ক করেছেন আরও বড় বিপদের কথা। ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তর আন্দামান সাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার সরাসরি প্রভাবে ২ থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই প্রবল থেকে অতি প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ সপ্তমী থেকে শুরু হওয়া ভিজে উৎসব অষ্টমীর পরও বাড়তি ভিজে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।