বলিউডের কিংবদন্তি ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) ব্যক্তিগত জীবন যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। একদিকে প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সংসার, অন্যদিকে পর্দার ‘ড্রিমগার্ল’ হেমা মালিনীর সঙ্গে ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায়—দুটি সংসারই তিনি যে ভাবে সামলে দিয়েছেন, তা আজও সকলের কাছে চর্চার বিষয়।
তারকাখ্যাতির আড়ালে প্রেমের কাহিনি
পঞ্চাশের দশকে জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা ধর্মেন্দ্র তখন প্রকাশ কৌরের স্বামী। কিন্তু হেমাকে দেখেই মুগ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। সেই টানেই দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্ত, যা সম্পন্ন হয় ধর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে। তবে এই পথ মোটেই সোজা ছিল না ধর্মেন্দ্র ও হেমার কাছে। শুরু হয় বিতর্ক, কোথাও কোথাও অগ্রহণযোগ্যতাও মেনে নিতে হয়েছিল তাদের। দেওল পরিবারের অনেকেই নাকি হেমা ও তাঁদের দুই কন্যা ঈষা ও আহানাকে দীর্ঘ সময় স্বীকৃতি দেননি। তবে এই দ্বন্দ্বের মাঝেও কোনও তিক্ততা বজায় থাকতে দেয়নি সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাহিনির এই অধ্যায়গুলো আস্তে আস্তে মুচেছে ।
দুই সংসারের ভারসাম্য
সম্প্রতি ববি দেওল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা এখনও মূলত প্রথম সংসারেই থাকেন, অর্থাৎ প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই তাঁদের পারিবারিক জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটান। তবে মাঝে মাঝে তিনি হেমা মালিনীর বাংলোয় যান ও কয়েকদিন থাকেন সেখানেও। তবে সেখানে গেলেই যেন বদলে যায় তাঁর জীবনযাত্রা। হেমার বাড়িতে থাকলে ধর্মেন্দ্রকে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয় একেবারেই ভিন্ন পরিবেশে। মাছ-মাংসের অনুরাগী এই অভিনেতা সেখানে পুরোপুরি নিরামিষ আহারে অভ্যস্ত হয়ে যান, কারণ হেমা মাংসের গন্ধ পর্যন্ত সহ্য করতে পারেন না।
ভালোবাসার সংজ্ঞা
হেমা মালিনী এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি কখনওই ধর্মেন্দ্রর প্রথম পরিবার থেকে কিছু দাবি করেননি। তাঁর মতে, ভালোবাসা মানে নিজের থেকে দেওয়া, পাওয়ার প্রত্যাশা নয়।
দুই সংসারের মধ্যেও শান্তি বজায় রেখে প্রাক্তন সুপারস্টার আজও দেখিয়ে চলেছেন, সম্পর্ক টিকে থাকে মানিয়ে নেওয়ার মধ্যেই—যেখানে থাকে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর সহাবস্থানের সৌন্দর্য।