পুজোর সময়েই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলায় নতুন মোড়। অনেক দিনের এই লড়াই এবার পৌঁছে গেছে এমন এক জায়গায়, যেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে কর্মীদের ভবিষ্যৎ ভাতা—কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকবে কিনা, না কি রাজ্যের পুরনো অবস্থানই বহাল থাকবে।
তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ আদালতে কর্মী সংগঠন কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে জমা পড়েছে চূড়ান্ত লিখিত সাবমিশন। এখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ডিএ কর্মচারীদের জন্য কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার। কলকাতা হাইকোর্টের আগের রায়কেও সামনে আনা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরাও কেন্দ্র নির্ধারিত হারের ভিত্তিতে ভাতা পাওয়ার দাবীদার।
কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, ২০০৯ সালের ROP ও এআইসিপিআই (AICPI) সূচকের ভিত্তিতেই ডিএ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানছে না রাজ্য সরকার। এমনকি, একই রাজ্যের কর্মীরা দিল্লি ও চেন্নাইয়ে থেকে অনেক বেশি হারে এই ভাতা পাচ্ছেন, অথচ বাংলার ক্ষেত্রে হার কম রাখা হয়েছে। এই বৈষম্যেই আজ ক্ষোভ জমেছে কর্মী মহলে।
এরই মধ্যে আদালতের নির্দেশ মেনে কর্মচারীরা ২৯শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের বক্তব্যও পেশ করেছেন। আগামী তিন সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট সেই লেখা পর্যবেক্ষণ করবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কর্মচারীরা নিজেদের বক্তব্য জমা দিয়েছেন। যদিও রায়ের দিন ঠিক হয়নি, সরকারি কর্মী মহলে এখন আশার আলো—বছরের পর বছর অপেক্ষার পর এবার হয়তো তাঁদেরই পক্ষেই দাঁড়াবে আদালতের রায়।