রাজ্য বনাম নির্বাচন কমিশনের টানাপড়েন যেন থামছেই না। সিইও-র দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে নিয়োগ ঘিরে ফের শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হওয়ার আগে ফাঁকা পদগুলিতে নিয়োগ প্রয়োজন হলেও সেই প্রক্রিয়াই বারবার জট পাকাচ্ছে।
নিয়োগে দড়ি টানাপড়েন
দীর্ঘ দিন ধরে সিইও দফতরে একাধিক পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্য রাজ্যের কাছে আধিকারিকদের তালিকা চেয়েছিল দিল্লির নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রথম তালিকা বাতিল হওয়ায় দ্বিতীয় বার রাজ্য নতুন করে নাম পাঠায়। ওই তালিকা থেকে কমিশন অতিরিক্ত সিইও পদে নদিয়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদের নাম চূড়ান্ত করেছে। যুগ্ম সিইও পদে নির্বাচিত হয়েছেন হরিশঙ্কর পানিক্কর। তবে ডেপুটি সিইও পদে প্রস্তাবিত তিন জন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিককে মেনে নেয়নি কমিশন। তাদের মতে, ওই পদের জন্য নির্বাচনী কাজে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আধিকারিক প্রয়োজন। তাই আবার নতুন নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
কেন এত কড়াকড়ি?
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভোট-সংশ্লিষ্ট কাজে এই পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আগেও নানা প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে। সম্প্রতি চার আধিকারিককে ভোটার তালিকায় অসাধু হস্তক্ষেপের অভিযোগে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। বিরোধীরা নিয়মিত শাসক দলের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ফলে এবার নিয়োগে কমিশন সব দিক খতিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে।
প্রশাসনে জল্পনা
কমিশনের এই অবস্থানের কারণে রাজ্য সরকারের সঙ্গে নতুন করে কি সংঘাত তৈরি হবে? ইতিমধ্যেই প্রশাসনের অন্দরে এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একদিকে সময়ের চাপ—এসআইআর শুরু হওয়ার আগে পদ পূরণ করা জরুরি। অন্যদিকে কমিশনের কড়া মানদণ্ডও এড়ানো যাচ্ছে না।
এদিকে নদিয়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ সিইও দফতরে বদলি হয়ে যাওয়ায়, নতুন জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ২০১৬ ব্যাচের আইএএস অফিসার অনীশ দাশগুপ্ত।