বিহারে (Bihar) ফের উঠেছে ভোট চুরির অভিযোগ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব চম্পারণ জেলার ঢাকা আসন ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল আলোচনা। অভিযোগ, এই একটি কেন্দ্র থেকেই প্রায় ৮০ হাজার মুসলিম ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। আরও বিস্ময়ের, এই আবেদন নাকি সরাসরি দলের লেটারহেডে লেখা চিঠির মাধ্যমেই পাঠানো হয়েছে কমিশনের কাছে।
নির্বাচনী লড়াইয়ের আগে উত্তাল অভিযোগ
ঢাকা আসনের ভোটার তালিকা থেকে মনোনীত মুসলিম ভোটারদের নাম মুছে ফেলার আবেদন করে দুটি চিঠি যায় বিহারের নির্বাচন আধিকারিকদের কাছে। একটি চিঠি পাঠান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক পবনকুমার জয়সওয়ালের সহকারী। আরেকটি আসে সরাসরি রাজ্য বিজেপির লেটারহেডে। অভিযোগ, গেরুয়া শিবির দাবি করেছে, ওই ভোটাররা আসলে ভারতীয় নন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কংগ্রেসের তোপ কমিশনকে ঘিরে
রিপোর্টার্স কালেক্টিভের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে আসতেই কংগ্রেস সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপিকে। তাদের অভিযোগ, এমন গুরুতর তথ্য জানার পরও নির্বাচন কমিশন নীরব থেকেছে। হাত শিবিরের দাবি, “ভোট চুরি”র ফাঁদ পেতে বিজেপিকে আসলে আড়ালে সমর্থন দিয়েছে কমিশন। প্রশ্ন তুলেছে তারা— যদি মাত্র এক বিধানসভা কেন্দ্রেই এত বড়সড় কারচুপি হয়, তবে সমগ্র বিহারের চিত্র আসলে কী?
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ
যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক পবনকুমার জয়সওয়াল। বরং তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, লালুপ্রসাদের দল আরজেডি নাকি প্রায় ৪০ হাজার হিন্দু ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তবে তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।
সামনে বড় পরীক্ষা
ঢাকা আসনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা ১ অক্টোবর। কমিশন আদৌ বিজেপির এই আবেদন মেনে নেয় কি না, তা নিয়েই এখন জোর জল্পনা। তবে ভোটের আগে কার্যত মুসলিম ভোটারদের বিরুদ্ধে বড়সড় ‘সাজানো চক্রান্ত’-এর অভিযোগে আরও একবার উত্তপ্ত হল বিহারের রাজনৈতিক মঞ্চ।