ফের ফাঁপড়ে বাংলাদেশের (Bangladesh)। আরও একবার নতুন করে বড় আঘাত পেল ভারতের (India) এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সম্প্রতি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর (Cricket World Cup) ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বংসী পরাজয়ের মুখোমুখি হয় টিম ইন্ডিয়া (Team India)।
টুর্নামেন্টে ১০০% জয়ের নিখুঁত রেকর্ড নিয়ে ফাইনালে পৌঁছানো সত্ত্বেও, ভারত পিছিয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানানোর পরে তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে কেবল ২৪০ রান তোলে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে খুব খারাপ ভাবে পরাজিত হয় টিম ইন্ডিয়া।
ফাইনালের দিন কোটি কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। যদিও ভারতের এই পরাজয় দেখে একপ্রকার খুশিতে ফেটে পড়েছিল ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ। গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে ভারত বিরোধী উৎসবের কয়েকটি ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বহু মানুষের উল্লাসের চিৎকার আর তীক্ষ্ণ আওয়াজ ভারতবাসীর মনে আরো যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছিল।
এই ক্লিপগুলি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে শেয়ার করা হয়েছিল, এবং কেউ কেউ বলেছিলেন যে ভিডিওগুলি পুরো দেশের মেজাজকে প্রতিফলিত করে না। এদিকে ফাইনালে হারের পর চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত শর্মা থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামিরা।
টিম ইন্ডিয়ার হারের পর কার্যত আনন্দ উৎসবে সামিল হয়েছিলেন বহু বাংলাদেশি মানুষ। দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের পরাজয় উদযাপন করা হয়। এই ভিডিওতে প্রচুর সংখ্যক মানুষকে দেখা যাচ্ছে, যারা বড় পর্দায় চলমান ম্যাচটি দেখছেন। সেইসঙ্গে ভারতকে হারতে দেখে আনন্দ উদযাপনে মেতে উঠেছেন।
এদিকে বাংলাদেশের এহেন মনোভাব দেখে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাংলাদেশীদের রীতিমতো ব্যান করে দেবার আওয়াজ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বহু সংস্থা এবং বিভিন্ন হোটেল বাংলাদেশী পর্যটকদের প্রবেশিকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এবার আরো চরম পদক্ষেপ নেওয়া হল।
এবার বাংলাদেশের সিনেমা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ওম শাস্ত্রী ফিল্মস। ওম শাস্ত্রী ফিল্মসের তরফে সাফ জানানো হয়েছে যে, ‘এবছর বিশেষ কারণবশত নবম ইন্দো বাংলা আন্তর্জাতিক অনলাইন চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্রকে আমরা প্রদর্শন করতে পারবো না। বাংলাদেশের সমস্ত চলচ্চিত্রকারকে আমরা আমাদের উৎসব কমিটি থেকে ব্যান করলাম।’ তবে এই প্রসঙ্গে সরকারের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করা হয়নি।